ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাফিজ ইব্রাহিমের ১০০ বান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন আত্মসাতের মামলা চলবে বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে নিয়মিত আপিল আবেদন (লিভ টু আপিল) করতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ. এম. মাহবুব উদ্দিন।
গত ১১ নভেম্বর মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন আদালত। এরপর হাইকোর্টর ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন হাফিজ ইব্রাহিমের আইনজীবী। সেই আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দিলেন।
এর আগে ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রুলের ওপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষ করা হয়। ওই দিন শুনানি শেষে ১১ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। গত ১ অক্টোবর ২০১৩ সালে হাইকোর্ট মামলাটির তার অংশ কেন বাতিল হবে না মর্মে রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
মামলার বিররণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৩ জুন বোরহান উদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মনিরাম বাজার সংলগ্ন হাফিজ ইব্রাহিম মহাবিদ্যালয়ের ৩টি টিনের ঘর থেকে ১০০ বান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন ভোলা নৌ- কন্টিনজেন্ট এবং বোরহান থানা যৌথভাবে উদ্ধার করে। ওই ঢেউটিনের বিষয়ে ওই মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক মো. হাফিজ ইব্রাহিম (সাবেক সংসদ সদস্য) এবং কলেজের অধ্যক্ষ এস. এম. গজনবী জড়িত বলে জানা যায়।
ওই ঘটনায় বোরহান উদ্দিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দু’জনকে আসামি করে বোরহান উদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন। দুদকের সহকারী পরিচালক রামমোহন নাথ মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরে অধ্যক্ষ এস. এম. গজনবী, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সাংসদ মো. হাফিজ ইব্রাহিম ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহানকে নিয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলাটির ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্পেশাল জজ বরিশালে বিচারাধীন আছে। মামলাটিতে অন্য আসামিদের ৭ জন সাক্ষী হয়ে গেছে।