বিচারব্যবস্থাকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে মন্তব্য করে বিচারকদের সব ধরনের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে বিচার করার অনুরোধ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
যশোর-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার সাজা ও দণ্ড স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতের স্থগিতের পর শনিবার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ অনুরোধ জানান। এ মামলায় যশোর-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার আইনজীবী ছিলেন তিনি।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিচারপতিকে অনুরোধ করে বলতে চাই, বিচারব্যবস্থাকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। সারাদেশের মানুষ আপনাদের উচ্চ আদালতে বিচারপতিদের এবং আমাদের আইনজীবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। বিচারবিভাগ জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল। তাই আপনাদেরকে (বিচারপতি) সকল ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে বিচার করার অনুরোধ করছি। কেননা, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না, আইনের শাসন থাকবে না, দেশের মানুষ সুবিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, বন্ধের দিনে বিচার বিভাগ বসার কথা নয়। আমরা আগেই বলেছিলাম বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারছে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার কোনও আইন দ্বারা খর্ব করা হয়নি। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নৈতিকস্খলনের কারণে কোনও ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। তবে, বিচারিক আদালতের দণ্ড আপিল বিভাগে চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে দণ্ডিত বলার কোনও বিধান নেই।
জয়নুল আবেদীন বলেন, বিচারিক আদালতের সাজা বা দণ্ড স্থগিত করার এখতিয়ার হাইকোর্ট বিভাগের রয়েছে। যার কারণে তারা সাবিরা সুলতানার সাজা ও দণ্ড স্থগিত করে। অথচ অ্যাটর্নি জেনারেল আমাদের কিছু অবহিত না করেই হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আজ শুনানি করেছেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে বিচারিক আদালতে দণ্ডিত হওয়া সত্ত্বেও ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাচনে যশোর-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার সাজা ও দণ্ড স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এই আদেশের ফলে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা কিংবা দণ্ড হাইকোর্টে স্থগিত হলেও ওই ব্যক্তিসহ দুই বছরের বেশি দণ্ডিত সব ব্যক্তির ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেলো বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।