যশোর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার দণ্ড স্থগিত করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ স্থগিত রেখেছে। সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবিরার অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকল না। পাশাপাশি তার মত যারা দুই বছরের বেশি সাজায় দণ্ডিত তাদের নির্বাচন করার পথও আর খুললো না।
এ বিষয়ে শুনানি করে আজ রোববার (২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ চলমান রাখেন।
আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনালে মাহবুবে আলম, তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও এবিএম বায়েজিদ।
আর সাবিরা সুলতানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, তার সঙ্গে ছিলেন আমিনুল ইসলাম।
আদেশের পর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “অ্যাটর্নি জেনারেল গতকাল অস্বাভাবিকভাবে চেম্বার আদালত বসিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন। আজকে আপিল বিভাগ সেই স্থগিতাদেশই চলমান রেখেছেন।”
সাবিরার আইনজীবী বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণার জন্য সরকার এই আইনগত কৌশল নিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
এই আদেশের বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিকার পাওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি না- জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে নিম্ন আদালতের দেওয়া ছয় বছরের সাজা ও দণ্ড বৃহস্পতিবার স্থগিত করেছিল হাই কোর্টের একটি একক বেঞ্চ। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনে চেম্বার আদালত শনিবার তা স্থগিত করে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়।