কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ইনানী ও সুগন্ধা বিচ এলাকায় (রাত্রীকালীন বাজার) মার্কেট স্থাপন ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে কক্সবাজারের বিচ ম্যানেজমেন্টের নির্দেশনা অনুসারে সেখানে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও সংবিধান পরপিন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়ের সচিব, কক্সবাজারের বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আলী মোস্তফা খান।
এর আগে গত ১৩ জুন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এক সভায় কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সুগন্ধা পয়েন্টে রাত্রিকালীন বাজার ও মার্কেট নির্মাণ এবং ইনানী পয়েন্টে ১৪৫টি দোকান নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে কক্সবাজারের সংকটাপন্ন এলাকাগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে বলা আছে। এ পটভূমিতে কক্সবাজরের সুগন্ধা ও ইনানী সমুদ্র সৈকতে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানিতে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।