সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনসহ গ্রেফতার সকল আইনজীবীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি। সেই সঙ্গে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল থেকে বেশি করে আইনজীবীদের মনোনয়ন দেয়ার দাবি করেছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান। বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনসহ গ্রেফতার সব আইনজীবীর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’
শাহ মো. খসরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি সমগ্র দেশের আইনজীবী সমিতিগুলোর ফেডারেশন এবং নির্দলীয় একমাত্র রাজনৈতিক আইন পেশার সংগঠন। গত আশির দশকে আইনজীবীদের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনজীবীরা অতীতের মতো দেশে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারেন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়ে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও মানবাধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা আইনজীবীদের একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পার্লামেন্টের সদস্য আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে বিভিন্ন কারণে এ সংখ্যা কমতে কমতে এখন কতিপয় আইনজীবীর মধ্যে সীমিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে দেশের ব্যবসায়ীরা ওই শূন্যস্থান পূরণ করার সুযোগ নিয়েছেন। তাই আমরা সকল রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানাই যেন বেশি সংখ্যক আইনজীবীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করে আইনজীবীদের আইনপ্রণেতা বানানোর একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়া যায়।
সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আরও বলেন, আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে নির্বাচনী এলাকায়, যেখানে আইনজীবীরা প্রতিদ্বন্দিতা করবেন সেসব এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অ্যাডভোকেট সামসুল জালাল চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট আবুল বাশারকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি ‘নির্বাচনী প্রচারণা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে কমিটির প্রচারণা কাজ শুরু হবে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল জালাল চৌধুরী, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আবুল বাশার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আনামুল হক, মিজানুর রহমান, আবুল কাশেম রাজু, অ্যাডভোকেট সায়মা খান প্রমুখ।