জাল সনদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ভুয়া পরিচয় দিয়ে চাকরিরত ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল আবদুল মালেকের আগাম জামিনের আবেদন গ্রহণ না করে তাকে ম্যাজিস্টেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবদুল মালেকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী একেএম ফয়েজ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএ আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। এছাড়াও দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল আবদুল মালেক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাসের কথা উল্লেখ করেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে বাবা হিসেবে মো. আবদুর রাজ্জাকের মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র দাখিল করেন। কিন্তু তিনি এসএসসি পাস করেনি এবং তার বাবার নাম মো. আবদুর রাজ্জাক নয়, মো. আবদুস সাত্তার।
কনস্টেবল আবদুল মালেকের জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটন হলে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ৫ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানালে আদালত তার আবেদন না মঞ্জুর করেন এবং তাকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।