ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার মামলায় তার শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মুখ্য নগর হাকিম আদালতে পাঠানো হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপকমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
এর আগে, গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে উত্তরা এলাকা থেকে হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
ডিবির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ভিকারুননিসার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতারকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। আজকের মধ্যে তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ না করলে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতার ও অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনা বরখাস্ত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, গত রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে—এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোমবার স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাঁদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারীর দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।