আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা পেতে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই খালেদার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল হলো। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (৮ ডিসেম্বর) আপিল শুনানির পর সন্ধ্যায় ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। ইসির এ রায়ের পর সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে খালেদাকে এখন উচ্চ আদালতে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।
এর আগে, শনিবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের শুনানি পেন্ডিং (স্থগিত) রাখেন নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগ। আদালতে দণ্ডিত হওয়ায় এর আগে খালেদার জিয়ার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। পরে প্রার্থিতা ফেরত পেতে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে যারা আপিল করেছেন তাদের বিষয়ে আজ (শনিবার) শেষ দিনের মতো নির্বাচন কমিশনে শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আজ মোট ২৩৩ জনের আপিল আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের প্রার্থিতা ফেরতের আবেদন যথাক্রমে ৩৮৫, ৪৪০ ও ৪৭৮ নম্বর শুনানির তালিকায় ছিল। শুনানির তালিকায় আসার পর নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগ এ বিষয়ে বিকেল ৫টায় শুনানি হবে বলে পেন্ডিং রাখে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির দুই মামলায় একটিতে ১০ বছর ও অন্যটিতে ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে কারাগারে রয়েছেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কারাদণ্ড বহাল থাকায় তার এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।