আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে সামির কাদের চৌধুরীসহ ৮ প্রার্থী।
আজ রোববার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের আইনজীরা পৃথক পৃথকভাবে এসব রিট করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বড় ছেলে সামির কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে গণফোরাম প্রার্থী খন্দকার ইকবাল আহমেদ, টাঙ্গাইল-৮ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, নওগাঁ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল হোসেন, নীলফামারী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রশিদুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ও বগুড়া ৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী সরকার বাদল এ রিট করেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নাটোর- ২ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ময়মনসিংহ- ৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন ও খাগড়াছড়ি- ২ আসনের বিএনপি প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া হাইকোর্টে রিট করেন।
সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তারা পৃথকভাবে এসব রিট করেন। এ ছাড়া পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনয়ন বাতিলে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের বিশেষ সহকারী রুহুল আমীন হাওলাদারও রিট করেছেন। একই দাবিতে বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমও প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছেন।
তফসিল অনুযায়ী, গত ২৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মোট তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে জমা পড়ে মোট দুই হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৪৯৮টি মনোনয়নপত্র।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে বাতিল হওয়া ২৪৩ জন ইসির আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। টানা তিনদিন শুনানির শেষদিন গতকাল শনিবার ৮৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। প্রথম দিন বৃহস্পতিবার শুনানিতে ৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার পান ৭৮ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর (রোববার)। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর (সোমবার)। এবং ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।