পাঠ্যপুস্তকে মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত বলে মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, এতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ক জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধসম্পন্ন মানবাধিকার সংক্রান্ত মূল্যবোধের সঙ্গে তরুণ সমাজকে প্রাত্যহিক জীবনে অভ্যস্ত করতে এটা সহায়তা করবে।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের হলরুমে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গতকাল সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকারগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এসব অধিকারকে সাংবিধানিক সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। এই মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইন বাতিল হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, সারা পৃথিবীতে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে বাংলাদেশে অবস্থা ভালো। এখানে এখনো নিখোঁজ হচ্ছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে আমরা এ বিষয়ে জেনে তদন্ত করে সরকারকে প্রতিবেদন দেই। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে সেখানে ছুটে যেতে। তবে আমাদের কিছু সমস্যা আছে। মানবাধিকার কমিশনের লজিস্টিক সাপোর্টের অভাব রয়েছে। সরকারের কাছে এ বিষয়ে আমরা আবেদন করেছি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর আখতার হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিশন ব্লেক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শারলোটা স্নাইটার, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হলেনস্টেইন, ইউএনডিপি-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি প্রমুখ।