অবৈধভাবে কয়েকশো হরিণ শিকারের অভিযোগে কয়েকদিন আগে কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ডেভিড বেরি জুনিয়রকে। সেই সঙ্গে তাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে একমাস তাকে ডিজনির পশুদের নিয়ে কার্টুন ‘ব্যাম্বি’ দেখতে হবে। ভিন্ন ধরনের এরকম সাজার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। চলুন জেনে নিই আদালতের জারি করা বিশ্বের অদ্ভুত ধরণের কিছু সাজা সম্পর্কে।
গাধার সঙ্গে হাঁটতে হবে: ২০০৩ সালে শিকাগোর দুই কিশোরকে ৪৫ দিনের সাজার পাশাপাশি তাদের শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি গাধার সঙ্গে হাঁটার আদেশ দেওয়া হয়। একটি চার্চের ক্রিসমাসের আগের দিন শিশু যীশু খ্রিষ্টের একটি মূর্তি চুরি ও নষ্ট করার অভিযোগে তাদের ওই সাজা দেওয়া হয়েছিল। গাধার সঙ্গে হাটার সময় তাদের একটি সাইনবোর্ড বহন করার আদেশ দেওয়া হয় যাতে লেখা ছিল—‘বোকার মতো অপরাধ করার জন্য দুঃখিত’।
চার্চে দশ বছর: গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার একটি হাইস্কুলের ছাত্রকে কারাগারের বাইরে আটকাদেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১৭ বছরের টেইলর আলফ্রেড মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনায় তার একজন বন্ধু নিহত হয়। তার সাজার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় একবছর মাদক টেস্ট করাতে হবে, ক্ষতিগ্রস্তদের সভায় যেতে হবে আর অবশ্যই আগামী দশ বছর নিয়মিত চার্চে যেতে হবে।
চাকরি খুঁজে নাও: স্পেনের আন্দালুসিয়ায় একজন ব্যক্তি তার বাবা-মাকে আদালতে হাজির করেছিল, কারণ তারা তার হাতখরচ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ২৫ বছরের ওই যুবক তার বাবা-মায়ের কাছে হাতখরচ হিসাবে ৩৫৫ পাউন্ড দাবি করে। তবে আদালতের বিচারক আদেশ দেন যে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বাবা-মায়ের বাসা ছাড়তে হবে এবং নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
ক্লাসিক্যাল সংগীত শোনা: গাড়িতে জোরে জোরে গান বাজানোর অভিযোগে ২০০৮ সালে অ্যান্ড্রু ভিক্টরকে ১২০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়। সে সময় তিনি র্যাপ সংগীত শুনছিলেন। তবে বিচারক তাকে প্রস্তাব দেন, যদি তিনি বিশ ঘণ্টা বিটোভেন, বাচ এবং চোপিনের ক্লাসিক্যাল সংগীত শুনে কাটাতে পারেন, তাহলে তার জরিমানা কমে মাত্র ৩০ পাউন্ড হবে। বিচারক আসলে চাইছিলেন ভিক্টর বুঝতে পারুক, যে ব্যক্তি যে ধরনের সংগীত পছন্দ করে না, তা জোর করে শুনতে কেমন লাগে। ভিক্টর মাত্র ১৫ মিনিট সেই সংগীত শুনতে পেরেছিল। সূত্র- বিবিসি বাংলা