জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে নৌকার প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুকের মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এ আদেশের ফলে নির্বাচনের পর ফারুকের বিরুদ্ধে রিট দায়ের সুযোগ খোলা থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
একই আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থের করা রিটের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আহসানুল করিম। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ।
পরে ব্যারিস্টার আহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালত আমাদের বলেছেন, ঋণ খেলাপির কারণে নির্বাচনের পরেও প্রার্থীর মনোনয়নপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরের সুযোগ রয়েছে। তাই আমরা আমাদের রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ আদেশের ফলে নির্বাচনের পরেও পুনরায় ঢাকা-১৭ আসনে নৌকার প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুকের মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে রিট দায়েরের পথ খোলা থাকলো।’
এর আগে পার্থের আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানিয়েছিলেন, খেলাপি ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে ফারুক হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেছিলেন। সে রিটে সোনালী ব্যাংক তার কাছে টাকা পাবে বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু ওই রিট আবেদনটিরওপর কোনও আদেশ হয়নি। কাজেই ফারুক যে ঋণ খেলাপি, এটা তো আত্মস্বীকৃত।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর গুলশান, বনানী, সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট করছেন অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।