বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে-এটা জানলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আসতেন না বলে জানিয়েছেন জোটটির আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
গতকাল বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. কামাল হোসেন এ কথা জানান। ওই সাক্ষাৎকারটি আজ বৃহস্পতিবার পত্রিকাটিতে প্রকাশ করা হয়।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর চূড়ান্তভাবে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।
বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতের ২২ জন নেতার নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে আমাকে বলছে হচ্ছে, জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়াটা বোকামি। আমি লিখিত দিয়েছি যে, জামায়াতকে কোনো সমর্থন দেওয়া এবং ধর্ম, মৌলবাদ, চরমপন্থাকে সামনে আনা যাবে না। যদি জানতাম, জামায়াত নেতারা বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাবে তাহলে আমি এতে (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) যোগ দিতাম না। কিন্তু ভবিষ্যৎ সরকারে যদি জামায়াত নেতাদের কোনো ভূমিকা থাকে, তাহলে আমি তাদের সঙ্গে একদিনও থাকবো না।’
ড. কামাল বলেন, ‘আমি ভোটের দিনের অপেক্ষায় আছি। ভোটের দিন একটি স্বাধীনতার দিন। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে তা হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতার দিন। এখন গণতন্ত্র বিপদগ্রস্ত। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে স্বাধীনতা অর্থপূর্ণ হবে।’