দীর্ঘ এক মাসের বার্ষিক অবকাশ শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) সারাদেশের জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সমূহে পুনরায় নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
এর আগে, গত ২ ডিসেম্বর থেকে আজ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিম্ন আদালতের আবকাশকালীন সময়ে এসব আদালতে বিচারাধীন মামলার কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ জজ আদালতসমূহ এই ছুটির বাইরে ছিল।
অবকাশকালীন সময়ের জন্য ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক হিসেবে মোঃ হেলাল চৌধুরীকে জরুরী মামলাসমূহ নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জরুরি মামলা নিষ্পত্তির জন্য অবকাশকালীন বিচারক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বরত একেএম ইমরুল কায়েশকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল।
এছাড়াও নিম্ন আদালতের অবকাশকালীন সময়ে জরুরী দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য সারাদেশে ১৪ জন অবকাশকালীন বিচারক নিয়োগ করা হয়েছিল। অবকাশকালীন ১৪ জজ হলেন – ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন, পাবনার জেলা ও দায়রা জজ মোঃ বজলুর রহমান, বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ রফিকুল ইসলাম, রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ বেগম নিলুফার সুলতানা, বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ গোলক চন্দ্র বিশ্বাস, শরীয়তপুরের জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ কে. এম. শহীদ আহমেদ, লালমনিরহাটের জেলা ও দায়রা জজ এ. কে. এম. মোস্তাকিনুর রহমান তাদের নামের পাশে উল্লেখিত জেলায় বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন।
পাশাপাশি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইমাম নরসিংদী, ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস. মোহাম্মদ আলী রাঙ্গামাটি, টাঙ্গাইলের বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ আবুল মনসুর মিঞা কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ কামরুল হাসান সাতক্ষীরা এবং মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসেন সিলেটে (মহানগর ব্যতীত) দায়িত্ব পালন করেন।