ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ :
ধর্ষণের অভিযোগ উঠায় আওয়ামী লীগ নিজের লোককে দল থেকে বহিষ্কার করে, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করে জড়িতদের। আর আপনাদের নেতারা গ্রেনেড মেরে হত্যা করেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য আর সহ-সভাপতি পদ পান, বিচারে সাজা হলেও নির্দোষ থাকেন, তাদের স্ত্রী-সন্তানরা পায় মনোনয়ন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাতের যেইসব নেতার প্রত্যক্ষ আশ্রয়ে ও মদদে অন্তত ১০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে প্রথম একশো দিনেই তাদের মধ্যেই অনেকে জায়গা করে নেয় মন্ত্রিসভায়। ঐসব ঘটনার বিচার তো দূরের কথা, কোনো তদন্তও হয়নি আপনাদের ক্ষমতার পাঁচ বছরে। রাজনৈতিক দলের দরজা রাখতে হয় খোলা সবার জন্য, কারণ রাজনীতির ধরনটাই এমন। এই সুযোগে কিছু খারাপ মানুষের অনুপ্রবেশ হবেই। কিন্তু খারাপ কাজ বা অপরাধের ব্যাপারে কোন দলের অবস্থান কি, অপরাধীদের বেলায় তারা শক্ত পদক্ষেপ নেয় কি না সেটাই মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত। অন্তত এই মানদন্ডে বাংলাদেশের দুই দলের মধ্যে পার্থক্য পরিষ্কার।
লেখক- আইনজীবী ও গবেষক