মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের জন্য আবার উদ্যোগ নিচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়।
দ্বিতীয় মেয়াদে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে আনিসুল হক আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করা যায় কি না, সে জন্যই এই আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা নিয়ে এই আইনের খসড়াটি আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে, যাতে এটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়।
সাড়ে চার বছর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। জামায়াতের বিচাররে জন্য আইন সংশোধনের কথা একাধিকবার জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিভিন্ন সময়ে তিনি বলেছিলেন, অপরাধী সংগঠনের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের সংশোধনীর খসড়া শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উঠবে। শেষ পর্যন্ত সেটা আর মন্ত্রিসভায় ওঠেনি। ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সংগঠনের বিচারকাজও শুরু করা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনের কিছু সংশোধন করে অমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাই। তারা কিছু আইনগত ভাষার বিষয় আবার পাঠায়। এটি এখন আমাদের কাছে আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানে হবে, যাতে এটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয় এবং পাস হয়।’
আইনমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের শনাক্ত করতে কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।