ছয় পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার মিরপুর মডেল থানার পুলিশ কনস্টেবল কবির হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন এ আদেশ দেন।
এ দিন পুলিশ কনস্টেবল কবির হোসেনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক বজলার রহমান তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, সোমবার রাতে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালানো সময় র্যাব সংবাদ পায় যে মিরপুর মডেল থানাধীন বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মেইন গেটের সামনে কিছুসংখ্যক লোক মাদক বিক্রি করেছে। র্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে কবির হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে। এরপর তার জিন্স প্যান্ট থেকে ছয়টি ইয়াবা জব্দ করে।
মিরপুর মডেল থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করেননি। তবে মিরপুর বিভাগের দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে মামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি এ–ও বলেছেন, শরীরে আঘাত নিয়ে ওই কনস্টেবল এখন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। র্যাব ও পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাষ্য পাওয়া গেছে ঘটনাটি নিয়ে।
র্যাব–৪–এর অধিনায়ক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেছেন, কনস্টেবল কবির তাঁদের হেফাজতে সুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, মিরপুর মডেল থানার কনস্টেবল কবির স্টেডিয়ামের কাছে ইয়াবা বিক্রির সময় ধরা পড়েন সোমবার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব মিরপুর মডেল থানায় মামলা করতে যায়। মামলা করার পর ওই কনস্টেবলকে পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে সময় তিনি সুস্থ ও সবল ছিলেন। পুলিশি হেফাজতে কী হয়েছে, তিনি কেন হাসপাতালে তা পুলিশই বলতে পারবে।
এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য জানতে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে এ নিয়ে কথা বলবেন বলে জানান। কিন্তু তিনি আর ফোন ধরেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের আরেকটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, কনস্টেবল কবির সোমবার রাতে কাজ সেরে সাদাপোশাকে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ র্যাব–৪–এর একটি গাড়ি থেকে একজন ভবঘুরেকে গ্রেপ্তারের তোড়জোড় দেখতে পান তিনি। কী হয়েছে জানতে এগিয়ে গেলে তাঁকেও র্যাব গাড়িতে ওঠায়। তারপর মামলা দিয়ে দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করবে।