নারী নির্যাতনের মামলার রায় পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চার সন্তানের জননী এক মহিলাকে পালাক্রমে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অধীন লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে এক আইনজীবীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার ( ৯ জানুয়ারি) দুপুরে মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনিছুর রহমান নামে এক আইনজীবীর সহকারী ও আরেক আইনজীবীর বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের ৪ সন্তানের জননী তার স্বামী আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। এ মামলার রায় ওই মহিলার পক্ষে পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লার আদালতের আইনজীবী সহকারী লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামের ফজর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫) ওই মহিলাকে গত ২৮ ডিসেম্বর (২০১৮) শানিচোঁ গ্রামের এক আইনজীবীর নির্জন বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে তাকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রেখে ওই বাড়ির দারোয়ান বরিশালের মুলাদি উপজেলার কাজীরচর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে লিটন বিশ্বাস (৩৮), আরেক আইনজীবী সহকারী কুমিল্লা মহানগরীর আদালত সংলগ্ন কাপ্তান বাজার এলাকার আশেক আলীর ছেলে আনিছুর রহমান (৩৫) মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভিকটিম মহিলা বিভিন্ন স্থানে প্রতিকার চেয়ে বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে প্রভাবশালী আসামিদের হুমকির মুখে আদালতে মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হন। পরে বুধবার দুপুরে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। রাতে সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই খাদেমুল বাহার জানান, এ মামলার এজাহার নামীয় আসামি আইনজীবী সহকারী আনছিুর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাস গ্রেফতার করা হয়েছে।