নাম তার রোকন উদ্দিন ভুইয়া (৪০)। পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই)। স্ত্রী রিমা বেগমকে (৩৫) নিয়ে ভাড়া থাকেন সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়া মেঘনা এ-২৬/১ নম্বর বাসায়। গ্রাম থেকে মাঝে মধ্যেই আনা হয় নারী ও শিশুদের। সামাজিকতাও রক্ষা করে চলেন ভদ্রলোক। নানা ধরনের মেহমান আসে দিনে-রাতে। কিন্তু ‘থলের বিড়াল’ বেরিয়ে এলো র্যাবের হাতে ধরা পড়ার পরে।
জানা গেল, আইনের লোকের সব বেআইনি কারবার। যাকে ‘লাইফপার্টনার’ পরিচয় দিয়ে এক ছাদের নিচে থাকছেন, তিনি আসলে স্রেফ ‘পার্টনার’। চাকরির প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যে গরিব, অসহায় নারী ও কন্যাশিশুদের আনা হয়। তাদের বাধ্য করেন অসামাজিক কাজে। আর এসবের পাশাপাশি চলে ইয়াবা কারবারও।
অবশেষে দুই শিশুকে দিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করানো ও ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে ভুয়া স্ত্রীসহ আটক হয়েছেন ওই এসআই। এ সময় বাসা থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে নগরীর দাড়িয়াপাড়া মেঘনা এ-২৬/১ নম্বর বাসায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটকরা হলেন, সিলেট নগরীর মুন্সিপাড়ার মৃত আবদুল রশিদের ছেলে রোকন উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ি থানার আটগাঁওর মৃত মফিজুল মিয়ার মেয়ে রিমা বেগম (৩৫)। রোকন উদ্দিন ভূইয়া সিলেটের লালাবাজারের ৭ আর্মড ব্যাটালিয়নে উপপরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) মো. মনিরুজ্জামান জানান, দাড়িয়াপাড়ার একটি বাসায় শিশুদের আটকে রেখে যৌনকর্মী হতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং ইয়াবা বেচাকেনা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অন্য অপরাধীরা পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব সদস্যরা।
মনিরুজ্জামান আরও জানান, রোকন উদ্দিন ভুইয়া ও রিমা বেগম ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরিব, অসহায় নারী ও শিশুদের এনে জোর করে যৌনকর্মে বাধ্য করতেন।