বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ এর খসড়ায় চূড়ান্ত ও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এছাড়াও বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা)-২০১৯ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
তিনি জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০১৮ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিবেদনও মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদের শেষ সময়ে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ এর খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হয়েছিল। তবে সেটি আইন হিসেবে পাস করার জন্য যথেষ্ট সময় ছিল না। নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এই আইনটির খসড়ায় চূড়ান্ত ও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে এই আইনটি পাস করার জন্য এখন সংসদে উত্থাপিত হবে।
এছাড়া মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) আইন-২০১৯ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূলত এটি ছিল ১৯৮২ সালে তদানীন্তন সামরিক সরকারের জারি করা অধ্যাদেশ। তবে আদালতের নির্দেশ রয়েছে অধ্যাদেশগুলোকে আইনে পরিণত করতে হবে ও বাংলা ভাষায় রূপান্তরিত করতে হবে। সেই বাধ্যবাধকতা থেকেই আগের অধ্যাদেশের সব কাঠামো ঠিক রেখে সামান্য পরিবর্তন করে আইনে পরিণত করার জন্য এর খসড়া উপস্থাপিত হয়েছে মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রিসভা এই আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে। এতে যে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে তা হচ্ছে, এই আইনের ফলে সরকার যেসব পণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে তার ৫০ শতাংশ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজে আনতে হবে। আইনের বিধান লঙ্ঘন করে কোনও পণ্য পরিবহন করা হলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আগের অধ্যাদেশে সরকারিভাবে আমদানির চল্লিশ শতাংশ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজে আনার বিধান ছিল।
সরকারিভাবে বছরে যত পণ্য আমদানি করা হয় তার ৫০ শতাংশ পণ্য পরিবহনের মতো জাহাজ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অবশ্যই প্রথমে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যেসব জাহাজ আছে তা ব্যবহার করতে হবে। এরপরও যদি লাগে তখন প্রয়োজনে অন্য প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ব্যবহার করা যাবে।
এছাড়াও মন্ত্রিসভায় ২০১৮ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, তিন মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে ৯টি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৮৩টি। বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৬টি। বাস্তবায়নাধীন সিদ্ধান্ত হচ্ছে ২৭টি। অনুমোদিত নীতি ও কৌশল নেওয়া হয়েছে ৭টি। এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে ৫টি এবং সংসদে আইন পাস হয়েছে ১৯টি।