দশম সংসদ না ভেঙে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী এমপিদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিট আবেদনের ওপর শুনানি করেন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সাকিব মাহবুব। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।
সংবিধান অনুসারে দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৮ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে নোটিশটি প্রেরণ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ায় বর্তমানে দুইটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী।
কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এ রিট দায়ের করেন। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি রিটটির ওপর শুনানি শেষ হলে গত ১৭ জানুয়ারি আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।
তবে, আদেশের দিন রিট আবেদনকারী উপযুক্ত পক্ষ না হওয়ায় আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করিয়ে নেন রিটকারীর আইনজীবীরা। এরপর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নতুন করে একই গ্রাউন্ডে রিট দায়ের করেন।