বিনা অপরাধে জাহালমের কারাভোগ করাকে নিন্দনীয় ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আইন মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা এস এস সোকো এশাকে ডাব্লিউয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাহালমের ঘটনাটি এখন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টাকে জানিয়েছি, দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনবিষয়ক কোনো ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত সমাধান করা হয়। প্রতিটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিই। আমরা জানিয়েছি, দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা বাংলাদেশের সাক্ষ্য আইন ও বৈষম্য নিরোধ আইন সম্পর্কে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’
সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেকের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে ২৬টিতে জাহালমকে আসামি আবু সালেক হিসেবে চিহ্নিত করে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। চিঠি পাওয়ার পর দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে পাঁচ বছর আগে জাহালম বলেছিলেন, তিনি সালেক নন। বাংলায় লিখতে পারলেও ইংরেজিতে লিখতে জানেন না। কিন্তু নিরীহ পাটকলশ্রমিক জাহালমের কথা সেদিন দুদকের কেউ বিশ্বাস করেননি। এরপর ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের এসব মামলায় জাহালম গ্রেপ্তার হন।
গত ২৮ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ১ হাজার ৯২ দিন পর গত রোববার মুক্তি পেয়েছেন জাহালম।