মামলার আসামি এক ভাই। কিন্তু পুলিশ এক ভাইয়ের নামের সঙ্গে আরেক ভাইয়ের নাম যুক্ত করে দেয়। তবে বিষয়টি নজরে আনার পর পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র সংশোধন করার নির্দেশ দেন আদালত।
চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ওসমান গণি গতকাল রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর নগরের আকবরশাহ থানার কৈবল্যধাম এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার অভিযোগে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। এজাহারে দুই ভাইয়ের কারও নাম ছিল না। তদন্তের একপর্যায়ে সীতাকুণ্ডের মাহমুদাবাদ এলাকার মদিন উল্লাহর ছেলে আবুল বশরকে পরের বছরের ২৮ মে কারা ফটক থেকে আটক করে আকবরশাহ থানার পুলিশ। পরে তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তদন্ত শেষে এই মামলায় আকবরশাহ থানার পুলিশ ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেখানে ৩২ নম্বর আসামির নাম লেখা হয় আবু জাফর ওরফে বশর। ঘটনা চক্রে আসামি আবুল বশরের ভাইয়ের নাম আবু জাফর। পুলিশের ভুলের কারণে মামলায় তিনিও জড়িয়ে যান।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আকবরশাহ থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোলায়মান এই ভুলটি করেন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, আবুল বশর জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক হন। কিন্তু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পুলিশ তাঁর আবুধাবিপ্রবাসী ভাইকে খুঁজতে থাকে। এর মধ্যে দেশে বেড়াতে আসেন আবু জাফর। হঠাৎ একদিন পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি শুরু করলে অবাক হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
নিজে আসামি নন দাবি করে গত বছরের ৩০ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন আবু জাফর। এ সময় আদালত বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড থানার-পুলিশকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে এসআই টিকলু মজুমদার ৫ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এতে বলা হয়, আবু জাফর এক ব্যক্তি এবং বশর তাঁর ভাই। এক নাম লেখা দুই ব্যক্তি। এই মামলার প্রকৃত আসামি হচ্ছেন আবুল বশর।
গতকাল ধার্য দিনে আদালত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে আকবরশাহ থানার পুলিশকে আবু জাফরের নামটি বাদ দিয়ে ওই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দিতে নির্দেশ দেন।