সারাদেশে যত অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে সকল মামলার চার্জশিট এক মাসের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া মাদক মামলার তদন্ত ও তদারকির জন্য সেল গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
আদেশে একই সঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নরওয়ের এক নাগরিকসহ চারজনকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় গাজীপুরের জয়দেবপুরের এসআই আব্দুল হালিমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এসআই আব্দুল হালিমকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
আদালতে নুরুল ইসলাম শেখের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফারুক আলমগীর চৌধুরী। আর এসআই আব্দুল হালিমের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর এসআই মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ১০ পিস ইয়াবাসহ রাজু আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে রাজু আহমেদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নরওয়ে প্রবাসী নুরুল ইসলামসহ তিন জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর নুরুল ইসলাম ওই মামলায় আগাম জামিন চাইতে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
জামিনের শুনানিকালে আদালত দেখতে পান, নুরুল ইসলাম একজন নরওয়ে প্রবাসী এবং পিএইচডি ডিগ্রি হোল্ডার। ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় তাকে অভিযুক্ত করায় আদালত বিষয়টি তদন্তের আদেশ দেন। আদালতের ওই আদেশের এক সপ্তাহের মধ্যে নুরুল ইসলামকে অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে এ মামলার বাদী জয়দেবপুর থানার এসআই আব্দুল হালিমকে তলব করেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার শুনানি শেষে ওই এসআইকে সতর্ক করে দিয়ে আদালত রায় দেন।