চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে দুই ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’র দুটি ভবন চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিতে ভাড়াটেদের ফ্ল্যাটগুলো খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগরে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এ অভিযান চালানো হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজের নেতৃত্বে ওই অভিযান চালায় পুলিশ।
ইউএনও ভবন দুটিতে থাকা ২১ ফ্ল্যাটের বাসিন্দাকে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চলে যেতে বলেছেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ বিভিন্ন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে সতর্ক করা হয়। অভিযানে ভবন দুটির সিসিটিভি ক্যামেরা জব্দ করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও থানা সূত্রে জানা গেছে, চিহ্নিত ভবন দুটির মালিক যথাক্রমে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন (৪৫) ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার ও একই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসাইন (৪০)। এর মধ্যে হেলালের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১২টির মতো মামলা আছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ১ লাখ ১৫ হাজার ইয়াবাসহ ফারুক আহমেদ নামের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন। হেলাল ওই মামলারও আসামি।
এলাকা ঘুরে জানা গেছে, স্থানীয় ব্যক্তিরা কখনো ওই ভবন দুটির মালিকদের দেখেননি। তবে হেলালের ভবনটি দেখভাল করেন তাঁর শ্যালক ওবায়েদ বাদল। আর হোসাইনের ভবনটি দেখাশোনা করেন তাঁর ভাগনে আমিন।
হেলালের ভবনের ভাড়াটে তৈয়বা বলেন, তিনি নতুন বাসা খুঁজতে বের হয়েছেন। এখানে আর থাকার সুযোগ নেই। তাঁর ভাষ্য, ১ বছর ধরে ওই ভবনে থাকলেও তিনি কখনো এর মালিককে দেখেননি।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার হোসাইনের বাড়ি পরিদর্শন করে চিহ্নিত করেছি। তাঁরা ইয়াবা ব্যবসায়ী হওয়ায় ওই দুটি ভবনের ভাড়াটেদের বাসা ছাড়তে বলা হয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে।’
কর্ণফুলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান ইমাম বলেন, অভিযানে ভবন দুটির সিসিটিভি ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে।