কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৪ পদের ১১টিতেই পদেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোট সম্পন্ন হয়।
নির্বাচনে মোট ৫৩৮ জন ভোটারের মধ্যে ৫০৬ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বুধবার দিনগত রাতে ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন ফারুকী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের দুই প্রার্থীকে পরাজিত করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মিয়া মোহাম্মদ ফেরদৌস। তিনি পেয়েছেন ১৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সমমনা আইনজীবীদের প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট তারেক উদ্দিন আহমেদ আবাদ পেয়েছেন ১৮৪ ভোট।
নির্বাচনে টানা একাদশবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সমমনা আইনজীবীদের প্যানেলের প্রার্থী মো. সহিদুল আলম শহীদ। তিনি পেয়েছেন ৩৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট প্যানেলের প্রার্থী এএম সাজ্জাদুল হক পেয়েছেন ১৪০ ভোট।
নির্বাচনে সহ-সভাপতির দু’টি পদে একটিতে বিএনপি সমর্থিত জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট প্যানেলের প্রার্থী মো. মনসুর আলম ২৯৭ ভোট ও আরেকটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সমমনা আইনজীবীদের প্যানেলের প্রার্থী মো. নবী হোসেন ২৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সমমনা আইনজীবীদের প্যানেলের প্রার্থী মো. ইমরাজ মিয়া পেয়েছেন ২৫৫ ভোট।
সহ-সম্পাদক এর দু’টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সমমনা আইনজীবীদের প্যানেলের প্রার্থী নাজমুন নাহার মিলি ৩১৯ ভোট ও এহতেশামুল হক চৌধুরী জুয়েল ৩০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতমরা হলেন বিএনপি সমর্থিত জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট প্যানেলের প্রার্থী মো. আসাদ রেজা ১৭৭ ভোট ও মো. জহিরুল হক ১০৩ ভোট।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সমমনা আইনজীবীদের প্যানেলের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম পলাশ ২৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট প্যানেলের প্রার্থী আবুল মোহাম্মদ সামিউল হক পেয়েছেন ২০৬ ভোট।
একক প্রার্থী হিসেব লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মো. ফজলুর রহমান সোহেল এবং অডিটর পদে মো. সাইফুল ইসলাম রাসেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা দু’জনেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সমমনা আইনজীবীদের প্যানেলের প্রার্থী।
এছাড়া সদস্যর পাঁচটি পদে যথাক্রমে খন্দকার ইয়াকুব ফয়সাল ৩২৪ ভোট, তানভীর হাসান রানা ৩২৪ ভোট, মোহাম্মদ মোজাফফর আহমেদ সোহাগ ৩২০ ভোট, সায়েরা বানু ছবি ৩১৬ ভোট ও মো. হাফিজুর রহমান তালুকদার টিটু ২৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তানভীর হাসান রানা বিএনপি সমর্থিত জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট প্যানেলের প্রার্থী এবং বাকি চারজন আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সমমনা আইনজীবীদের প্যানেলের প্রার্থী।