অ্যাডভোকেট রাম চন্দ্র দাশ

আইনের ধারা ও বিষয়বস্তু কিভাবে সহজে আয়ত্ত করা যায়?

অ্যাডভোকেট রাম চন্দ্র দাশ:

আইনের শিক্ষার্থী, শিক্ষানবীশ আইনজীবী ও নতুন আইনজীবীদের জন্য ’ধারা’ আয়ত্ত করা একটি চ্যালেঞ্জ। এ সম্পর্কে বহুল প্রকাশিত বাক্য ’ধারা মনে থাকে না”! এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমাদের প্রাণপণ চেষ্টা করতে হয়, কারণ আইনের সাধারণ পরীক্ষায়, পেশাগত জীবনে, বিশেষ করে ইদানিং বার কাউন্সিল পরীক্ষায় এটি বেশ গুরুত্বের সাথে সামনে আসছে। যদিও আইনজীবী হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন চর্চার এক পর্যায়ে এটি সহজাতভাবে আয়ত্তে চলে আসে এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে আইন দেখার সুযোগও থাকে।

যেহেতু প্রায় সব আইনই ধারা-ভিত্তিক বা কোডিফাইড (codified), তাই এটা কোন না কোনভাবে আমাদের আয়ত্ত করতেই হয়। অন্যদিকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে মুখস্থ করার ক্ষমতাও কিছুটা কমতে থাকে, যেখানে বয়স্কদের সংগ্রামটা একটু বেশি করতে হয়। আবার বয়স্কদের অন্যান্য অভিজ্ঞতা বেশি থাকে বলে, ধারা বাগে আনতে অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ থাকে। তবে এটাও ঠিক যে, ধারার মধ্যে এক ধরণের যৌক্তিক ধারাবাহিকতা আছে- যা আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। সুতরাং ভয়ের কিছু নেই; ভয়কে আমাদের জয় করতেই হবে।

প্রথমেই খেয়াল করতে হবে ‘আয়ত্ত’ (ইংরেজিতে acquire যার মানে to gain something by your own effort) শব্দটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, ‘মুখস্থ নয়’! আয়ত্ব করার মধ্যে কোনকিছুর গভীরে গিয়ে বোঝাপড়ার একটি সম্পর্ক আছে, অন্যদিকে মুখস্থ করার মধ্যে বোঝাপড়ার সম্পর্কটি খুবই কম, বরং যান্ত্রিকভাবে কাজটি (স্মৃতিতে ধরে রাখা) করে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি প্রধান। মুখস্থ অনেকটা যান্ত্রিক প্রক্রিয়া হওয়ার কারণে একটা সময় পরে এটি ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে (বিশেষ করে না বুঝে মুখস্থ করলে এবং এর চর্চা না থাকলে)। মনে রাখতে হবে ‘যেকোন কিছু শেখা একটি ব্যক্তিগত প্রক্রিয়া’। তাই বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রক্রিয়া ও প্রচেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকই নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার দিকে ফিরে তাকান, দেখবেন আপনি অনেক কঠিন ও অপছন্দের বিষয় বা পরিস্থিতিরপ্ত করেছেন বা মোকাবেলা করেছেন।

একটি উদাহরণের সাহায্যে আয়ত্ত করার প্রক্রিয়াটি আলোচনা করা হলো- যেমন, কেউ আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোর নাম ও তার অন্যান্য তথ্যাদি মুখস্থ করতে চায়। যেহেতু এটি আমাদের অপরিচিত, তাই এটা আয়ত্ত করতে হলে বেশ কিছু টেকনিক বা পদ্ধতি (যথাসম্ভব বৈজ্ঞানিক এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক) অবলম্বন না করতে পারলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষত্রে আমরা কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি?

যেমন-

  • আফ্রিকা মহাদেশের মানচিত্রটি দেখতে পারি। কারণ যেকোন জিনিস দেখলে মনে থাকে বেশি এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত, অর্থাৎ মানব ব্রেইন ‘লিপি’র চেয়ে ‘ছবি’ বেশি মনে রাখতে পারে। অন্যদিকে, পুরো জিনিসটা (মহাদেশ) দেখলে, এর অংশ অর্থাৎ দেশগুলো মনে রাখা সহজতর হবে; সহজ কথায় বললে, ‘সমগ্রে’র সাথে ‘অংশে’র সম্পর্ক (relationship between ‘parts’ and ‘whole’)
  • বর্ণানুক্রমিক বা দিক (পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিন) এবং সংখ্যা অনুযায়ী দেশের নামের একটি ধারাবাহিকতা তৈরি করতে পারি। কোন একটি নির্ধারকের ভিত্তিতে ধারাবহিকতা মনে রাখতে সহায়তা করে। ধারাবাহিকতা আমরা গল্পে’র মধ্যে বেশি উপস্থিতি পাই, তাই গল্প মনে রাখতে সহজ হয়। আবার সংখ্যার ধারাবহিকতা মনে রাখতে জোড়-বিজোড়, সংখ্যার শেষে ৫ বা ০ আছে এমন নম্বরকে ধরে মনে রাখা যেতে পারে
  • তারপর দেশগুলোর তথ্যাদি টেবিলে সাজাতে পারি। টেবিল সাজালে একনজরে দেখা যায়, এটি একধরণের মানচিত্রের কাজ করে। ‘সমগ্রে’র সাথে ‘অংশে’র সম্পর্ক, সাজুয্যতা বা তুলনা করতে সুবিধা হয়।
  • কঠিন/ অপরিচিত বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে পারি। কিছু নাম বা কিছু তথ্য, বা ধারণা অপরিচিত বা কঠিন; এগুলো আলাদাভাবে চিহ্নিত করে চর্চা করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা মনে রাখার পদ্ধতি কাজে লাগানে যেতে পারে। আলাদাভাবে লিখা রাখা, ছাত্রজীবনে বীজগণিতের সূত্র মনে রাখার জন্য চার্ট আকারে লিখে দেওয়ালে লটকিয়া রাখা যেতে পারে।
  • একটি দেশের সাথে আরেকটির সম্পর্ক (মিল) স্থাপন করতে পারি। দুই বা ততোধিক জিনিসের মধ্যে মিল খুঁজে বের করার মাধ্যমেও মনে রাখা সহজতর হয়।
  • তুলনামূলক চিত্র তৈরি করতে পারি। আবার মিল নাই কিন্তু পার্থক্য আছে এমন বিষয়ও মনে রাখতে সাহায্য করে।
  • সর্বোপরি, কিছুদিন পরপর এগুলো দেখতে পারি। মনে রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট বিরতিতে বিষয়টি পড়া, লেখা বা চর্চা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রসায়নবিদ্যা পড়ার ক্ষেত্রে একটি কথার প্রচলন ছিল, আমরা সবাই শুনেছি- ‘যথই পড়িবে, ততই ভুলিবে/ যতই ভুলিবে, ততই পড়িবে/ যতই পড়িবে ততই শিখিবে। ‘ অর্থাৎ short-term memory থেকে long-term memory তে নেওয়ার জন্য আমাদেরকে নির্দিষ্ট বিরতিতে জিনিসগুলো বার বার পড়তে হবে।

আপনারা হয়তো ইতিমধ্যেই উপরের উদাহরণের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাটি থেকে কিভাবে ‘আইন শিখতে’ অর্থাৎ ধারা ও ধারার বিষয়বস্তু আয়ত্ত করার প্রক্রিয়াতে কাজে লাগাবেন তা ধরে ফেলেছেন। অন্যদিকে এই উদাহরণ থেকে আরেকটি জিনিস মনে হয় অনুধাবন করছেন সেটা হলো ধারা ও ধারার বিষয়বস্তু একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। মনে রাখতে হলে দুটি মিলেই মনে রাখার দরকার- দুটিই পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এরসাথে যুক্ত হয় ‘অধ্যায়’! ২০১৭ সালের এমসিকিউতে একটি প্রশ্ন এসেছে ‘সাধারণ ব্যতিক্রম’ দন্ডবিধির কোন অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত? কাজেই সিলেবাস অনুযায়ী সার্বিকভাবে ৭টি আইন পড়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

আবার অনেকের কাছে মনে হবে ‘এতকিছু’ করাতো কঠিন; কিছুটা কঠিনতো বটেই। বিষয়টি তো অস্বীকার করার জো নেই যে, বার কাউন্সিলের পরীক্ষা পাশ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং (পাসের হার ৩০-৩৫%)! কাজেই তেমন কোন সর্ট-কাট মেথডও নাই; থাকলেও মনে না থাকার ঝুঁকি অনেক বেশি। কাজেই আমরা মনে করি ঝুঁকি কমানোর জন্য সঠিক পদ্ধতি অলম্বন করে পরিশ্রম করলে এই প্রস্তুতি লিখিত এবং পরবর্তীতে পেশাও কাজে লাগবে নিশ্চয়।

আপনাদের সুবিধার্থে একটি আইনের আলোকে (সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২) আলোচনা করলে প্রস্তাবিত পদ্ধতিটি আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে অর্থাৎ ’জলবৎ তররলং’ বা পানির মতো তরল (সহজ) হয়ে যাবে!

প্রথমত, সূচিপত্র বা আইনের মানচিত্র বিশ্লেষণ: সাক্ষ্য আইন একটি পদ্ধতিগত আইন। এই আইন পড়া শুরুতেই আমরা এর ধারাভিত্তিক সূচিপত্রটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করবো ও গভীর মনযোগ সহকারে দেখে নিবো; এটিই মূলত একটি আইনের মানচিত্র। এই সূচিপত্র বিশ্লেষণ করেই আমরা এই আইনটি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা নিতে পারি। তারপর সিলেবাস অনুযায়ী অধ্যায় ও উপ-অধ্যায় বাছাই করে কোন ধারাগুলো গুরুত্বপূর্ণ তাও বিবেচনায় নিতে পারি। প্রতিটি ধারারই আবার একটি ’শিরোনাম’ আছে, কোন কোন ধারার আবার উপ-শিরোনামও আছে।

  • সাক্ষ্য আইনে মোট ৩টি অংশ আছে, প্রতিটি অংশের অধীনে এক বা একাধিক অধ্যায় আছে;
  • এই তিনটি অংশের অধীনে ১১টি অধ্যায়; কিছু কিছু অধ্যায় আবার বিভিন্ন উপ-অধ্যায়ে বিভক্ত;
  • ১১টি অধ্যায়ের প্রতিটিতে এক বা একাধিক ধারার সমন্বয়ে ১৬৭টি ধারা আছে।

এই বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে আপনি একটি ধারাবাহিকতা অবলোকন করবেন। সার্বিক ধারণার পাশাপাশি এই ধারার ধারাবাহিকতাটি ধরতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার মাধ্যমে আয়ত্ত করার প্রক্রিয়াটি শুরু করলেন।

দ্বিতীয়ত, সিলেবাস অনুযায়ী অধ্যায় ও উপ-অধ্যায় পর্যালোচনা: এর পরই আপনি একটি অধ্যায়ে চলে যাবেন। যেমন, সাক্ষ্য আইনের ২য় অধ্যায়ে অনেকগুলো উপ-অধ্যায় বা বিষয় আছে-

  •  ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা (ধারা ৫-১৬)
  • স্বীকার (ধারা ১৭-৩১). এই উপ-অধ্যায় বা বিষয়েই স্বীকার (ধারা ১৭-২৩ ও ধারা ৩১) ও স্বীকারোক্তি (ধারা ২৪-৩০) আলাদা আলাদা ২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  • এমন মানুষের বিবৃতি যাদের সাক্ষী হিসাবে ডাকা যায় না (ধারা ৩২-৩৩)
  • বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রদত্ত বিবৃতি (ধারা ৩৪-৩৮)
  • বিবৃতির কতটুকু প্রমান করতে হবে (ধারা ৩৯)
  • আদালতের বিচারের রায় কখন প্রাসঙ্গিক হবে (ধারা ৪০-৪৪)
  • তৃতীয় ব্যক্তির মতামত কখন প্রাসঙ্গিক হবে (ধারা ৪৫-৫১)
  • চরিত্র কখন প্রাসঙ্গিক হবে (ধারা ৫২-৫৫)

উপরের ৮টি উপ-অধ্যায় বা বিষয়ের মধ্যে প্রথম ৪টি (আন্ডার-লাইন করা) বিষয় সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত। তাই বাকী বিষয়গুলো আপনাদের আপাতত না পড়লেও চলবে।

তৃতীয়ত,উপ-বিষয়ের ধারা বিশ্লেষণ: ধরুন আপনি স্বীকার (ধারা ১৭-২৩ ও ধারা ৩১) বিষয়টি আয়ত্ত করতে চান অর্থাৎ স্বীকার সংক্রান্ত ৮টি ধারা ও এদের বিষয়বস্তু। এখন আপনাকে ধারা অনুযায়ী বিষয়বস্তু বুঝে নিতে হবে এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো মনে রাখতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ ধারা, যেমন

ধারা১৭: স্বীকারের সংজ্ঞা
ধারা ১৮: কে কে স্বীকৃতি দিতে পারবেন
———-
———-
ধারা ৩১: স্বীকৃতি চুড়ান্ত প্রমান নয়, তবে তা ‘স্বীকৃতির বাধা (estoppel)’ হিসেবে কাজ করবে; অর্থাৎ স্বীকৃতি একবার প্রদান করে ফেললে এটা আর অস্বীকার করা যাবে না।

কাজেই কোন ধারাগুলো মনে রাখতে হবে, এগুলো বাছাই করে আলাদাভাবে নোট করা যেতে পারে। পরীক্ষায় ধারা উল্লেখ করে বিষয়বস্তু কী জানতে চাইতে পারে আবার বিষয়বস্তুটি কোন ধারায় আছে জানতে চাইতে পারে (যেমন স্বীকারের সংজ্ঞা কোন ধারার বিষয়বস্তু? ধারা ১৯/২০/১৭/১৮)।

চতুর্থত,ধারার বিষয়বস্তু ও প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি বিশ্লেষণ:

যেমন- ধারা ১৭: স্বীকারের সংজ্ঞা তে কী কী আছে?

১৭ ধারাটি এরকম- ”স্বীকার এক প্রকার মৌখিক বা দালিলিক/ লিখিত বিবৃতি, যা বিচার্য বিষয় (fact in issue) বা প্রাসঙ্গিক ঘটনা (relevant fact) সম্পর্কে অনুমানের সুযোগ বা সূচনা করে দেয়, এবং এটি পরবর্তী ধারায় (অর্থাৎ ১৮-২০) উল্লেখিত নির্দিষ্ট অবস্থার প্রেক্ষিতে কিছু ব্যক্তি প্রদান করে।”

এই ধারাটিতে আমরা নিচের তিনটি বিষয় দেখতে পাই-

১) স্বীকার এক প্রকার বিবৃতি; মৌখিক বাদালিলিক/ লিখিত,
২) যা বিচার্য বিষয় (fact in issue) বা প্রাসঙ্গিক ঘটনা (relevant fact) সম্পর্কে অনুমানের সুযোগ বা সূচনা করে দেয়,
৩) এবং এটি পরবর্তী ধারায় (অর্থাৎ ১৮-২০) উল্লেখিত নির্দিষ্ট অবস্থার প্রেক্ষিতে কিছু ব্যক্তি প্রদান করে;

১৭ ধারায়স্বীকারের সংজ্ঞায় প্রধান বিষয়বস্তু প্রথম ২টি। কিন্তু ৩নং বিষটি বুঝতে ১৮-২০ ধারা পড়তে হবে। আবার বিচার্য বিষয় (fact in issue) বা প্রাসঙ্গিক ঘটনা (relevant fact) ধারা ২ এ উল্লেখিত সংজ্ঞা পড়ে নিতে হবে।

ধারা অনুধাবন করতে উদাহরণ (illustration) খুব সাহায্য করে; আবার উদাহরণ থেকে সমস্যা-ভিত্তিক এমসিকিউ বা লিখিত প্রশ্নও আসে অনেক সময়। যেমন- ২০ ধারা: মামলার পক্ষ কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে উল্লেখিত ব্যক্তির স্বীকার- এর উদাহরণ (illustration): “প্রশ্ন যখন এ কর্তৃক বি এর কাছে ঘোড়া বিক্রি করেছে কি না? এ বি-কে বলল, সি এর কাছে যাও, সি সব জানে। এক্ষেত্রে সি এর বিবৃতি ‘স্বীকার’ বলে গণ্য হবে” এখানে সি তৃতীয় পক্ষ, মোকদ্ধমার পক্ষ (বিবাদী এ) সি বিষয়টি জানে বলে উল্লেখ করেছে, কাজেই সি-এর বিবৃতি স্বীকার বলে গণ্য হবে।

পঞ্চমত, একেকটি অধ্যায় বা উপ-অধ্যায়ের ধারাগুলোর সমাবেশকরণ: টেবিলে সাজানো, মিল, অমিল ও বিশেষ দিক খোঁজে বের করা, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধারাগলো চার্ট আকারে টাঙিয়ে রাখা ইত্যাদি আপনার সুবিধামতো আপনি করতেই পারেন।

আপনি নিশ্চয়ই হাফিয়ে উঠেছেন- এই দীর্ঘ আলোচনা পড়ে। এক্ষেত্রেও ধৈর্যসহকারে আপনার মতো পদ্ধতি অবলম্বন করুন। কারণ একটি আইনকে ভালোভাবে পড়া শিখে গেলে, এটা আপনার সারা জীবন কাজে লাগবে। মনে রাখতে হবে, একবার বড়শি দিয়ে মাছ ধরা শিখে গেলে, অনেক মাছ ধরতে পারবেন আপনার খুশিমতো।

লেখক : আইনজীবী, ঢাকা জজ কোর্ট; ই-মেইল: ram.chandra.das@gmail.com