বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সিবিএর দায়িত্ব পালনকারী সংগঠন বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের জন্য শ্রম অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রায়ের ফলে বিআইডব্লিউটিএর কালেক্টিভ বার্গেনিং এজেন্টের (সিবিএ) কার্যক্রমকে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মন্টু চন্দ্র ঘোষ। একইসঙ্গে অবৈধ সংগঠনের নিবন্ধনে ৩০ দিনের মধ্যে বাতিলের জন্য শ্রম অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া সংগঠনটির এ যাবতকালের সকল কার্যক্রম অবৈধ বিবেচিত হবে বলেও জানান তিনি।
ওই সংগঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক রিটের ওপর শুনানি শেষে সোমবার (১১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও মাহবুব শফিক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রম অধিদফতর থেকে নিবন্ধন পায় বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, যার নিবন্ধন নম্বর বি-২১৭৬। একই বছরের জুনে সিবিএর স্বীকৃতি পায় সংগঠনটি। তবে এই সংগঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের মেডিকেল অ্যাটেন্ডেন্ট এবং বিআইডব্লিউটিএ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবর রহমান।
রিটকারীর আবেদনে বলা হয়, শ্রম আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থায় তিনটির বেশি ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন পেতে পারে না। বিআইডব্লিউটিএ-তে এর আগে আরও চারটি ট্রেড ইউনিয়নকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে এবং এই তথ্য গোপন করে সর্বশেষ বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নকে বেআইনিভাবে নিবন্ধন দিয়েছে শ্রম অধিদফতর। সুতরাং সর্বশেষ নিবন্ধিত সংগঠনটি অবৈধ।