‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য প্রয়াত ব্যারিস্টার শওকত আলী খানকে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পৃথক একটি আদেশ জারি করেছে।
এ সিদ্ধান্তের ফলে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১৩ হলো। এর আগে গত রবিবার (১০ মার্চ) জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে পৃথক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেবেন।
উল্লেখ্য, শওকত আলী খান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে ভূমিকা রাখেন। তিনি যুদ্ধের জন্য ভারত থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে গেরিলা বাহিনীর একটি কোম্পানিসহ ১৯৭১ সালের আগস্টে দেশের ভেতরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর তিনি সংবিধান রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতিও ছিলেন। ১৯৭২ সালে টাঙ্গাইলের নাগপুর এবং মির্জাপুর এলাকা নিয়ে গঠিত সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।
এছাড়া শওকত আলী খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালের ২৯ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ওই তালিকায় এ বছর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর), আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ডা. কাজী মিসবাহুন নাহার, মরহুম আব্দুল খালেক (মরণোত্তর), অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ (মরণোত্তর), চিকিৎসাবিদ্যায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সমাজ সেবায় ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে ড. হাসিনা খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা পদকের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।