বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়নি। কারাকর্তৃপক্ষ তার কাস্টডিতে বলেছে,বন্দি আদালতে হাজির হতে অনিচ্ছুক।
আজ বুধবার (১৩ মার্চ ) খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। বকশী বাজারে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যেসব কাগজপত্র জব্দ করেছেন আমরা সেগুলো এখনও হাতে পাইনি। তাছাড়া খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন, তিনিও আদালতে হাজির নাই। আসামি আমিনুল হক দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন আছেন। তাই অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য সময় পেছানো হোক।’
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট দিয়েছেন। একইসঙ্গে অন্য আসামিদেরও আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা করা হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত),ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন,আলতাফ হোসেন চৌধুরী,ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।