সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০ বর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ চলছে।
দুই দিনব্যাপী এ নির্বাচনের দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। এরপর গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভোটারদের লাইন শেষ না হওয়ায় ৩০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়।
প্রথম দিন দুই হাজার ৯৭০ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মোট ৪৪টি বুথে একযোগে আইনজীবীরা তাদের ভোট প্রদান করেন।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সুপারিনটেনডেন্ট (তত্ত্বাবধায়ক) নিমেষ চন্দ্র দাস গণমাধ্যমকে বলেন, এবারের নির্বাচনে মোট ৭ হাজার ৮২৫ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
প্রতি বছর সুপ্রিম কোর্ট বারের কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৭টি সম্পাদকীয় ও ৭টি নির্বাহী সদস্যের পদ রয়েছে। এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে সরকার সমর্থিত সাদা প্যানেল এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে দু’জন এবং সদস্য পদের জন্য একজনসহ মোট ৩৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সভাপতি পদে সমিতির সাবেক সম্পাদক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন (এ এম আমিন উদ্দিন) ও সম্পাদক পদে বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সম্পাদক আইনজীবী আবদুন নুর দুলালের নেতৃত্বে সাদা প্যানেল থেকে ১৪ জনের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
অপরদিকে বারের সাবেক সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আব্দুল জামিল (এ জে) মোহাম্মদ আলী এবং সম্পাদক পদে টানা ছয়বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহাবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে নীল প্যানেলে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সুপারিনটেনডেন্ট (তত্ত্বাবধায়ক) নিমেষ চন্দ্র দাস জানান, এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এ ওয়াই মশিউজ্জামান। তার নেতৃত্বে একটি সাব-কমিটি দায়িত্ব পালন করছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার দিন ধার্য ছিল। মনোনয়ন প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষে এখন চূড়ান্তভাবে ৩৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। গতকাল (১৩ মার্চ) এবং আজ (১৪ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে মাঝে ১ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।
এবার হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও তাদের মিত্ররা। অপরদিকে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে মরিয়া।
এদিকে ভোটের আগেরদিন মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে কার্যক্রম শুরুর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রার্থী এবং তাদের সমর্থক আইনজীবীরা দলবেঁধে প্রচার-প্রচারণা চালান।