২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্য অধিদফতরের বিভিন্ন পদে প্রায় ৮ লাখ আবেদনকারীকে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে করা আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, তাদের আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খাদ্য অধিদফতরের ওইসব পদে নতুন করে জনশক্তি নিয়োগ না দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (২৭ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘২০১৪ সালের খাদ্য অধিদফতরের বিভিন্ন পদে প্রায় ৮ লাখ আবেদনকারী ২০১৮ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে কি পারবে না-সে বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরকে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর খাদ্য অধিদফতরের অধীনে ১৫ ক্যাটাগরির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫৯৯ পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে প্রায় ৮ লাখ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনের পর দীর্ঘদিন ধরে এসব আবেদনকারী অপেক্ষার প্রহর গুনলেও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো প্রবেশপত্র পাননি। পরবর্তী সময়ে একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত বছরের ৭ নভেম্বর প্রকাশ করে অনলাইনভিক্তিক আবেদন আহ্বান করে খাদ্য অধিদফতর। এতে নন-গেজেটেড ২৪ ক্যাটাগরিতে পদ বাড়িয়ে ১ হাজার ১৬৬ জন করা হয়।
তবে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৪ সালে যারা আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই বলে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে আবেদন করা হয়।
কিন্তু খাদ্য অধিদফতর থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ২০১৪ সালের আবেদনকারী মো. এনামুল হকসহ ৪০ জন। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ উপরোক্ত আদেশ দেন।