বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হলেও মামলার অন্যতম আসামি রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
আজ রোববার (৩১ মার্চ) সকালে মামলা হস্তান্তরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির (উত্তর) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহজাহান সাজু।
তিনি জানান, এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি ইতোমধ্যে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মামলা ও গ্রেফতারদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, গতকাল শনিবার (৩০ মার্চ) দিনগত রাতে মামলার অন্যতম দুই আসামিকে গ্রেফতার করে ডিবি। গ্রেফতাররা হলেন- এফ আর টাওয়ারের অবৈধ অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম ও ভবনটির জমির মালিক এস এম এইচ ফারুক।
রাত সাড়ে ১০টায় বারিধারার নিজ বাসা থেকে প্রথমে তাসভির ও রাত ১টার দিকে ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় শনিবার (৩০ মার্চ) বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক (৬৫), রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল (৫৭), কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী তাজভির উল ইসলাম (৬২) ও এফআর টাওয়ার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতাসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
ডিবির (উত্তর) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলাইন সিথিল গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতার দুইজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
মামলার আরেক আসামি রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলেরর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে (মুকুল) গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী আমরা ধারণা করছি তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।