শিক্ষা জীবনটাই হচ্ছে শেখার। সে সময়টাই যদি আমরা বাচবিচার করে অল্প পড়ে কিংবা কোনও শর্টকাট ধরে ভালো রেজাল্ট করি তাতে করে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষতিই সাধিত হবে। আর আইন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এটাতো আরও ভয়াবহ। কেননা, আইন বিষয়টাই এমন যার শেষদিন পর্যন্ত জানতে হয়। কারণ মৃত্যুর আগের দিনও আইন পরিবর্তন হতে পারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের অধ্যাপক ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ল’ইয়ার্স ক্লাব ডটকমের বিশেষ প্রতিনিধি প্রিন্স মাহামুদ আজিমের মুখোমুখি আলাপনে কিছুক্ষণ।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : গত ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পূর্ন হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ট্রাইব্যুনালের সাফলতা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ : প্রতিটা কাজেরই দুইটা দিক থাকে সফলতা আর ব্যর্থতা। ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সফলতার ক্ষেত্রে আমি চারটি বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করতে চাই। প্রথমত, বিশ্বে যতগুলো যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল রয়েছে তুলনামূলকভাবে আমরাই মাত্র নয় বছরে ৩৬টির মতো মামলা নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছি । দ্বিতীয়ত, মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের যে টিম কাজ করেছে তারা শতভাগ সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদ, যুদ্ধাপরাধ ও দুর্নীতি ইত্যাদি প্রসঙ্গ প্রমানের ক্ষেত্রে শতকরা ১২ শতাংশ বা এরও কম হয়ে থাকে বাংলাদেশ ল’কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী। কিন্তু আমাদের এই ট্রাইব্যুনাল শতভাগ সফল হয়েছে। কেননা এই ট্রাইব্যুনালে এমন কোনও মামলা নেই যে মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছে। তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে প্রথম থেকেই জামায়াতে ইসলামকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে আখ্যা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে । কিন্তু আজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নয় বছর পর যদি পেছন দিকে ফিরে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাই, মামলার তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয় বরং আসামীরা নিজ নিজ অপরাধ অনুযায়ী তাদের সাজা পেয়েছে এবং আমরা তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে তাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে জামায়াতে ইসলাম, বিএনপি কিংবা অন্যকোন দলকে হিসেব করে নয় বরং অপরাধীর অপরাধ বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল সাজা দিয়েছেন।
সর্বশেষে বলবো অনেক বিষয় রয়েছে যা শুধুমাত্র আদালতে কিংবা সমাজে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে একটি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রায় ৩৮ বছর পর বিচারকার্য শুরু হয়েছে এবং ৪০ বছর পরে রায় আসা শুরু হয়। সেই জায়গাটায় অতীতের থেকে যাওয়া ক্ষতগুলো কতটা মানুষের মন থেকে মুছতে পেরেছি সেটা মাননীয় ট্রাইব্যুনাল রায়ের মধ্য দিয়ে এতো চমৎকার পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন যা আমাদের ট্রাইব্যুনালের অভাবনীয় সাফল্য। যেমন, বীরাঙ্গনা মা, যুদ্ধশিশু এবং বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে মাননীয় ট্রাইব্যুনাল থেকে আমরা যে সকল পর্যবেক্ষণ পেয়েছি সেগুলো নিঃসন্দেহে অসাধারণ পর্যবেক্ষণ। কেননা এই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের অবদানের কথা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। সুতরাং এই চারটি বিষয়ে আমি মনে করি আমাদের ট্রাইব্যুনাল অত্যন্ত সফলতা ও সার্থকতার সাথে তাদের কাজ এগিয়ে নিতে পেরেছে।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : ট্রাইব্যুনালের কেবল সফলতাই দেখছেন নাকি কোন ব্যর্থতাও চোখে ধরা পড়ে…
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ : আমি মনে করি না যে আমাদের ট্রাইব্যুনালের কোনভাবে ব্যর্থ। তবে প্রসিকিউটর হিসাবে ট্রাইব্যুনালের ভিতর বাহির দুই দিক থেকে ট্রাইব্যুনালকে দেখেছি। সেখানে আমার কাছে মনে হয়েছে একটি জায়গায় ট্রাইব্যুনালের দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু এই দুর্বলতাটা শুধুমাত্র ট্রাইব্যুনালের না, সারা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায়ও বিদ্যমান। কেননা, ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্যের প্রথম থেকেই নানান ষড়যন্ত্র হয়ে আসছে। এই ষড়যন্ত্রগুলোকে মোকাবেলা করার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি ও সক্ষমতা আমাদের ছিলোনা। উদাহরণ হিসাবে বলতে পারি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় দেওয়ার পূর্বের দিন রায় প্রকাশিত হয়ে গেছে বলে যে অপতৎপরতা চলেছে এইরূপ ষড়যন্ত্রগুলোকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে আমাদের ট্রাইব্যুনালের দুর্বলতা রয়ে গেছে। অন্য একটি উদাহরণ হিসাবে আমি বলতে পারি, একজন প্রসিকিউটরকে বছরের পর বছর যুদ্ধাপরাধীর অপরাধ তদন্তে লেগে থাকতে হয়। সেখানে ট্রাইব্যুনালের ভিতরে থেকে কাজ করা কোনও প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে তৃতীয় পক্ষ কিংবা স্বয়ং যুদ্ধাপরাধীদের কাছ থেকে যদি কোনও অভিযোগ আসে এবং তার সত্যতা প্রমানিত হওয়ার পূর্বে সেটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এই ধরণের কর্মকাণ্ডের জন্য তদন্তের মাধ্যমে প্রসিকিউটরের অভিযোগের সত্য-মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার আগেই যদি মিডিয়া ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাহলে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি মানুষের আস্থার জায়গাটা সংকুচিত হয়।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : সুপ্রিম কোর্টে যুদ্ধাপরাধ মামলার বেশ কিছু আপিল অনেক দিন ধরেই ঝুলে আছে, এর কারণ কি?
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ : এটা সত্য যুদ্ধাপরাধ মামলার বেশ কিছু আপিল অনেকদিন ধরে ঝুলে আছে। আপীল শুনানি হচ্ছে না উচ্চ আদালতে। প্রথম দিকে আপীল শুনানিতে প্রায় ৩ বছরের মতো সময় লেগে যেত মামলা শেষ করতে। পরবর্তীতে ট্রাইবুনালে আমরা সময়টাকে কমিয়ে চার থেকে ছয় মাসে নিয়ে এসেছি। উচ্চ আদালতে মামলাগুলো ঝুলে রয়েছে এটা আমাদেরকে অত্যন্ত ব্যথিত করে। একজন প্রসিকিউটর হিসাবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার আন্দোলনকারী হিসাবে ও বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে এটা আমাকে ব্যথিত করে। যেহেতু স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ আদালতের অধীনে এই সকল মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে এখন তারাই নির্ধারণ করবেন কোন সময়টা সঠিক বিচারের শুনানির জন্য। যুদ্ধাপরাধ মামলা ঝুলে থাকাটা আমাদের একটি কষ্টের জায়গা তারপরও আমরা আস্থা রাখতে চাই স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার উপর। কেননা, আমরা আশা করি খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : সম্প্রতি ‘ট্রায়ালস অব ১৯৭১ বাংলাদেশ জেনোসাইড : থ্রু অ্যা লিগ্যাল লেন্স’ নামে আপনার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে, বইটিতে মূলত কোন বিষয়টি আপনি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন; সংক্ষেপে যদি বলতেন…
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ : ২০১৬ থেকে আমি ‘ট্রায়ালস অব ১৯৭১ বাংলাদেশ জেনোসাইড : থ্রু অ্যা লিগ্যাল লেন্স’ বইটির কাজ শুরু করি। সিঙ্গাপুর থেকে প্রেট্রিজ পাবলিশিং নামক একটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা থেকে বইটি জাতীয় গণহত্যা দিবস ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে প্রকাশিত হয়। এমন একটা দিনে বইটি প্রকাশিত হওয়ায় আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান বলে মনে করি। এই বইটিতে মৌলিক অর্থে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের গণহত্যার ট্রায়ালটা ৪০ বছর পরে হওয়ায়, সে ট্রায়ালের বিভিন্ন আঙ্গিকে ট্রায়ালটিকে বইটাতে দেখানোর চেষ্টা করেছি। যেমন প্রসিকিউশন সেটিকে কীভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে এবং এই গনহত্যায় আদালত কীভাবে রায় দিচ্ছেন। আদালতের দেওয়া রায়ের মধ্য দিয়ে আমরা আসলে কি পর্যবেক্ষণ পাচ্ছি। তাই আমি বইটিতে আমার প্রথম বিশটি মামলাকে আমার মামলার স্টাডি হিসাবে নিয়েছি। এবং উক্ত মামলাগুলোকেগুলোকে আন্তর্জাতিক অন্যান্য মামলার সাথে তুলনা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের বিচারিক রায়গুলোকে তুলনামূলক আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমি বাংলাদেশের হয়ে এমন একটি একাডেমিক কাজ হাতে নিয়েছিলাম। তার জন্য আমাকে অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিলো। কেননা একই সময়ে প্রসিকিউশন ম্যানেজ করা, একাডেমীক কাজ সম্পন্ন করে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বইটি বিশ্লেষণ করা সত্যি অনেক কষ্টকর ছিল। এর আগেও আমার অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু এই বইটির কাজ আমি করেছি এমন একটা সময়ে যখন আমি কাজ করছি মাননীয় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসাবে একই সাথে পড়াচ্ছি একাডেমীক বিভিন্ন জায়গায়।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : আমরা জেনেছি ‘ট্রায়ালস অব ১৯৭১ বাংলাদেশ জেনোসাইড : থ্রু অ্যা লিগ্যাল লেন্স’ বইটি আন্তর্জাতিক একটা প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে যা ইতিমধ্যে আপনিও বলেছেন সে সাথে আমরা এটাও জানতে পেরেছি বইটা ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত এর পিছনে কোনও কারণ আছে?
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ : বইটি আমি আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা যখনই বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশের গণহত্যা বিষয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকি বেশীরভাগ লিখায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাওয়া যায়। আর বইটি ইংরেজি ভাষায় লেখার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেন এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যে আমরা আমাদের দেশে গণহত্যাকে আমরা কীভাবে আদালতের মাধ্যমে সঠিক নিষ্পত্তি দিতে সক্ষম হলাম পাশাপাশি বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতিসরূপ এটি একটি আন্তর্জাতিক ডকুমেন্ট হিসাবে থেকে যাবে বিশ্বের কাছে। সেজন্য আমি বইটাকে আন্তর্জাতিক প্রকাশনা থেকে প্রকাশ করি এবং এটি ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি, বলা যায় আপনি একজন সফল আইনজীবী। কিন্তু নারী হিসেবে এই সফলতা নিশ্চয়ই সহজ ছিল না। আদালত প্রাঙ্গণে নারী আইনজীবীদের কি ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় এবং এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনার পরামর্শ কি?
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ : বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা পুরুষতান্ত্রিক। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীরা ঘরে-বাহিরে কিংবা যেকোনো পেশায় বৈসম্যের স্বীকার হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই নানা রকম প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে নারীদের এগিয়ে যেতে হয়। শুধুমাত্র আইনজীবী হিসাবে যারা রয়েছে তারাও অন্যান্য পেশায় থাকা নারীদের মতোই। তাই সকল কর্মজীবী নারীদের প্রতি আমার পরামর্শ হচ্ছে, মনোবল ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং বর্তমানে সেটাই দৃশ্যমান হচ্ছে যেমন, আমাদের মেয়েরা এভারেস্ট জয় থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণ করে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। তাই হার না মেনে নারীর অব্যাহত জয়যাত্রাই নারীর জয়কে সুনিশ্চিত করে।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : আপনি কেবল স্বনামধন্য আইনজীবীই নন, আইনের শিক্ষকও, আইন শিক্ষার্থীদের প্রতি আপনার উপদেশ কি?
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ : আইন শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার উপদেশ হচ্ছে একটাই, কখনই শর্টকাট পথ বেছে নেওয়া যাবে না।পড়াশুনা করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো। ভবিষ্যতে আইনজীবী হিসাবে তুমি কাজ করো বা না করো, বিচারক হও বা না হও। তুমি গবেষণায় যাও, শিক্ষকতা করো যাই করো তবে শিক্ষা জীবনটাকে শিখার কাজেই ব্যয় করো। শিক্ষার্থী অবস্থায় যতটা সম্ভব প্যাকটিক্যালি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করো এবং প্রতিটা পেশায় একটি কষ্টকর সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই কোনও কিছু প্রাপ্তির জন্য কষ্টটা স্বীকার করে নিতেই হবে। কেননা শিক্ষা জীবনটাই হচ্ছে শেখার। সে সময়টাই যদি আমরা বাচবিচার করে অল্প পড়ে কিংবা কোনও শর্টকাট ধরে ভালো রেজাল্ট করি তাতে করে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষতিই সাধিত হবে। আর আইন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এটাতো আরও ভয়াবহ। কেননা, আইন বিষয়টাই এমন এটাকে শেষদিন পর্যন্ত জানতে হয় কারণ মৃত্যুর আগের দিনও আইন পরিবর্তন হতে পারে।
ল’ইয়ার্স ক্লাব : ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য।
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ : ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকেও ধন্যবাদ সে সাথে শুভেচ্ছা রইলো এর অগনিত পাঠকদের জন্য।