ফরিদপুরের ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিলের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাঠানো জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ১২ মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিলের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
ওই ১২ মুক্তিযোদ্ধার করা পৃথক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক, সহকারী পরিচালক (অর্থ) ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এ ১২ জনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অভিযোগ করা হয়। উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শুনানি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে তাদের গেজেট ও সনদ বাতিলের জন্য জামুকা সভায় উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা দেন। ১১ নভেম্বর জামুকার ৬০তম সভায় বিষয়টি আলোচিত হওয়ার পর এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তে বলা হয়, জামুকার চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) গেজেট ও সনদ বাতিলের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্ত ২৬ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১২ মুক্তিযোদ্ধা গত ৪ এপ্রিল দু’টি রিট করেন।
অমিত দাশ গুপ্ত আরও জানান, এ ১২ জন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। অধিকাংশের নাম লালমুক্তি বার্তায়ও রয়েছে। এরপরও অভিযোগের ভিত্তিতে জামুকা তাদের সনদ বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সোমবার আদালত রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে জামুকার সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
ফরিদপুরের সদরপুরের হারুন অর রশিদসহ ৫ জন এবং একই উপজেলার মো. মজিবুর রহমানসহ ৭ জন এ দু’টি রিট দায়ের করেন।