সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত (অ্যানেক্স) ভবনের লিফটে এক আইনজীবীসহ ৬ জন প্রায় ৪০ মিনিট ধরে আটকা থাকার পর তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা ২টার পর তারা লিফটে উঠলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বেলা ৩টার আগেই তাদের উদ্ধার করা হয়।
লিটকে আটকা পড়া একজন জানান, সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের একটি লিফটে দুই আইনজীবী, দুজন উচ্চ আদালতের (কোর্ট) কর্মকর্তা, একজন আইনজীবীর সহকারী এবং একজন নারীসহ ছয়জন আটকা পড়েছিল। পরে তাদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তাদের উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়।
ঘটনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর সহকারী মো. ইয়াছিন শেখ বলেন, “দুপুর ২টার পর পর ভবনের ১ ও ২ তলার মাঝামাঝি পথে লিফটি আটকে যায়। পরে লিফটে আটকে পড়া কোর্টের সেকশন অফিসার কিসমত আমাকে ফোন করে আটকা পড়ার সংবাদ দেন। এরপর আমি ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে লিফটের কাছে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি লিফটম্যান এদিক সেদিক ছোটাছুটি করেও লিফট থেকে আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে পারছে না। প্রায় ৪০-৪৫ মিনিটের মতো চেষ্টা করার পর অনেকের সহযোগিতায় তাদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বেলা ৩টার পর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এসে পৌঁছান। কিন্তু তার আগেই সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের হেড অফিস (সিদ্দিকবাজারের) স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হই। কিন্তু এখানে এসে দেখি লিফটে আটকা থাকা সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
ঘটনাস্থলে থাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জানান, এর আগে আমিসহ পাঁচজন ওই একই লিফটে আটকা পড়েছিলাম। তবে ১০ মিনিট পর আটকা পড়া থেকে মুক্তি পাই। পরবর্তীতে আর কখনও ওই লিফটে উঠিনি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করা স্বেচ্ছাসেবক মো. আশরাফ উদ্দিন মুকুল বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছি। লিফটের ঘটনায় যখন ফায়ার স্টেশনে কল করা হয় তখন আমি সিদ্দিকবাজার হেড অফিসে ছিলাম এবং তাদের একটি টিমের সঙ্গে হাইকোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হই। কিন্তু কার্জন হলের সামনে থেকে আসার পথে গাড়িগুলো বারবার হুইসেল বাজানো সত্ত্বেও ট্রাফিক পুলিশ রাস্তা খালি করে দেয়নি। তাদের আমি নিজেও কয়েকবার অনুরোধ জানানোর অনেক পর তারা রাস্তাটি খালি করে দিলে আমরা কোর্টে এসে পৌঁছাই।’