জাহালম

জাহালমের জেল খাটার পেছনে কারা জড়িত জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

২৬ মামলায় ভুল আসামি হিসেবে বিনা দোষে জাহালমের তিন বছর জেলে থাকার পেছনে কারা জড়িত- তা দেখবেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জাহালমের জেল খাটার পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দুদকের করা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২ মে (বৃহস্পতিবার) পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন। এ সময় আদালতে জাহালমও উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এবং জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

শুনানি শুরু হলে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সময় চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় কোর্ট দেখেন, এ মামলার ফাইল আসেনি। তখন আদালত বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল আজকে ফাইল আসবে এবং আমরা শুনানি করতে পারব। কিন্তু ফাইলতো আসেনি।’

এ সময় আদালত দুদকের আইনজীবীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত নথি দাখিল করতে হবে এবং জাহালমের জেল খাটার পেছনে কারা জড়িত সেই তদন্ত রিপোর্টও দাখিলের নির্দেশ দিয়ে ২ মে দিন ঠিক করে দেন।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল জাহালমের বিষয়ে জানতে তাকে হাজির করতে বলেন আদালত। আদালতের সেই নির্দেশনা মতে আজ (বুধবার) জাহালম কোর্টে হাজির হন।

গত ৬ মার্চ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ডুমুরিয়া গ্রামের জাহালমকে ২৬ মামলায় ভুল আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিলের যাবতীয় নথি তলব করেন হাইকোর্ট। গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে ২৬ মামলায় অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও ৭ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়ায় মামলাগুলোতে তার অব্যাহতির বিষয়ে আদেশ দেননি আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি ২৬ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে থাকার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্র সচিবের একজন প্রতিনিধি ও আইন সচিবের একজন প্রতিনিধিকে উপস্থিত থেকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থানের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।