একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ১৮০ কার্যদিবসে শেষ না করার ব্যাখ্যা দেয়ায় জন্য ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, পিপি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে (আইও) কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তাদের এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত মামলায় জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শহীদুল ইসলাম।
জানা যায়, স্ত্রী রেহেনা আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী মূর্তজা ওরফে মিন্টুকে আসামি করে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মামলা করা হয়। ওই মামলায় ওইদিনই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরের ৩০ জুন এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্র দাখিল ও অভিযোগ গঠনের পর আজ পর্যন্ত মামলাটির বিচার শেষ করতে পারেনি ট্রাইব্যুনাল। এ কারণে হাইকোর্টে মিন্টুর জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মো. শহীদুল ইসলাম।
ওই জামিনের শুনানিকালে আসামির আইনজীবী বলেন, বিচার শেষ না হওয়ায় আসামি চার বছর ধরে কারাগারে আছেন। এ কারণে তিনি জামিন পাওয়ার হকদার।
তখন আদালত নথি পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনানুযায়ী ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে না পারলে ট্রাইব্যুনালের বিচারককে হাইকোর্টের কাছে ব্যাখ্যা দেয়ার কথা আইনে বলা আছে। কিন্তু তিনি কোনো ব্যাখ্যা করেননি। এ ছাড়া পিপি ও তদন্ত কর্মকর্তার জবাবদিহিতার কথাও বলা আছে। ফলে কেন এই মামলার বিচার শেষ করতে পারেননি তার ব্যাখ্যা চেয়ে তাদের শোকজ করা হয়।