ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। এছাড়া একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৭ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম এই তারিখ ধার্য করেন। এদিন হত্যা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন ও বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন (আজ, বুধবার) হত্যা মামলায় আদালতের মূল বিচারক না থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থন হয়নি। অপরদিকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে শুনানির জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালতের পেশকার ইফতেখার আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
ওই হামলার পর হুমায়ুন আজাদ ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
পরে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। হাফিজ মারা গেছেন।
ওই মামলায় জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
হত্যা মামলায় ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৪১ জন সাক্ষ্য দেন। বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় সাক্ষ্য দেন ১০ জন।