হাইকোর্টের আদেশের কপি যাওয়ার আগেই মামলা নিষ্পত্তির আদেশ বাস্তবায়ন করায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শওকত আলীকে জবাবদিহিতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) তাকে জবাবদিহি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। অপরদিকে বিচারকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।
আসমা নামের এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলাটি চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গত বছরের ৮ জুলাই নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু এই নির্দেশ কার্যকর না করায় গত ১০ এপ্রিল একই আদালত ওই বিচারককে তলব করেন। আজ ২৪ এপ্রিল তাকে হাজির হয়ে ওই আদেশ কার্যকর না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। আদালতের এই আদেশের সংবাদ সকল জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের পর টনক নড়ে বিচারকের।
তিনি গত ১৮ এপ্রিল মামলাটি নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করেন। এরপর হাইকোর্টের লিখিত আদেশের কপি পৌঁছায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে। বুধবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে ওই বিচারক আইনজীবী আবুল কালাম আজাদের মাধ্যমে জানান, হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার আগেই মামলায় রায় দেয়া হয়েছে। এরপর হাইকোর্ট ওই বিচারককে অব্যাহতি দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসমা খাতুন নামের এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট মামলা হয়। এ মামলায় ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামি নয়ন কর্মকারকে গ্রেফতার করা হয়। নয়ন কর্মকার হাইকার্টে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গত বছরের ৮ জুলাই নির্দেশ দেন।
গত সাত মাসেও মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় গত ১০ এপ্রিল বিষয়টি আবারও হাইকোর্টের নজরে আনেন নয়ন কর্মকারের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। এ অবস্থায় ওই আদালতের বিচারককে তলব করেন হাইকোর্ট।