সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো থেকে সমাজের অসহায় ব্যক্তিদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তাই সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি অসহায়দের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদানে লায়ন্স ক্লাবস্ ইন্টারন্যাশনাল এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক লায়ন্স জেলা ৩১৫- এ২, বাংলাদেশের দুই দিনব্যাপী ২৪তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় সমাজের দুঃস্থ ও অসহায় নারী-শিশুদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় লায়ন্স ক্লাবস্ ইন্টারন্যাশনালের ভূয়সী প্রসংশা করেন প্রধান বিচারপতি। বক্তব্য শেষে তিনি সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে লায়ন্স জেলা ৩১৫এ২ এর জেলা গভর্নর লায়ন হাবীবা হাসান পিএমজেএফ বলেন, মানবতার সেবার মহান ব্রত নিয়ে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে লায়ন্স ক্লাব। সমাজে ধর্ম–বর্ণ, ধনী–দরিদ্র, বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি পেশার মানুষ যে কেউ লায়ন্স ক্লাবের মাধ্যমে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত হতে পারে। মানব সেবার এ দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ক্লাবগুলোর সদস্যরা অবিরাম কাজ করে চলেছেন। কাজের ধারাবাহিকতায় ২০১৮-২০১৯ সেবা বর্ষে ৫টি গোল (ছানীরোগী অপারেশন, বৃক্ষরোপন, ক্ষুধার্ত অবসান, ডায়াবেটিক চিহ্নিতকরণ এবং এলসিআইএফ অনুদান প্রদান) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তাই ক্লাবের সকল নেতৃবৃন্দকে এ জন্য ধন্যবাদ জানান জেলা গভর্নর লায়ন হাবীবা হাসান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লায়ন ড. মো. বশির উল্লাহ ও লায়ন কামরুন্নেসা খান কুমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন লায়ন্স ক্লাবস্ ইন্টারন্যাশনালের সাবেক আন্তর্জাতিক পরিচালক লায়ন শেখ কবির হোসেন, জিএমটি এরিয়া লিডার স্বদেশ রঞ্জন সাহা, কাউন্সিল চেয়ারপারসন লায়ন মো. আমিনুল ইসলাম লিটন, সাবেক জেলা গভর্নর লায়ন ড. শরীফুল ইসলাম রিপন পিএমজেএফ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন, কনভেনশন চেয়ারম্যান লায়ন সাদেকুর রহমান শাহীন, সেক্রেটারি লায়ন আহমেদ ইমতিয়াজ হাসান শিহাব, জেলার কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন পারভেজ রানা, কেবিনেট ট্রেজারার লায়ন আনিসুর রহমান খান প্রমুখ।
একই সঙ্গে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে সরকারের পাশাপাশি লায়ন ও লিও সদস্যরা দুস্থ ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। এদেশে মোট লায়ন সদস্য সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। এর সঙ্গে মোট ক্লাব রয়েছে ৬৯৫টি, যা ৬টি লায়ন জেলায় বিভক্ত হয়ে সারা দেশে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।