প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদককে সমাজের একেকটি ক্ষত আখ্যা দিয়ে এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯–এর সমাপনী এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি সমাজের একেকটি ক্ষত। কারণ, এই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কারণেই কত নিরীহ মানুষকে আজকে জীবন দিতে হচ্ছে। এর থেকে আমাদের সমাজকে মুক্ত রাখতে হবে, দেশকে মুক্ত রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে যোগ করে বলেন, ‘কাজেই আমি আমাদের অভিভাবক, পিতা-মাতা, শিক্ষক, গুরুজন, আত্মীয়স্বজন, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন, ওলামা-মাশায়েখ, জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার এবং জনমত সৃষ্টি ও সকলকে সচেতন করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেমন শারীরিক ও মানসিক শক্তি পাবে, তেমনি মেধাবিকাশেরও সুযোগ পাবে। সে কারণেই আমরা এই উদ্যোগটা নিয়েছি। আর এরপরেই অদূরভবিষ্যতে আমরা আন্তকলেজ প্রতিযোগিতাও শুরু করব।’
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এই আন্তস্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতাগুলো থেকে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে, যারা একদিন বিশ্বকাপও জয় করে নিয়ে আসবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মাসব্যাপী এই আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ৬৫টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হাজার ক্রীড়াবিদ এতে অংশ নেন। তাঁরা ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, সাঁতার, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, অ্যাথলেটিকসসহ মোট ১০টি ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন, রানারআপ বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দলগুলোকে ধন্যবাদ জানান। তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয় ও ফারইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার ফুটবল ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেন। নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকার পর টাইব্রেকারের সাডেন ডেথে গণবিশ্ববিদ্যালয় ৫-৪ গোলে ফারইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে।
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল চন্দ্র সূত্রধর প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় (পুরুষ) এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তামান্না আক্তার শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় (মহিলা) হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন।