২৫ টাকার ইনজেকশন ৫০০ টাকায় বিক্রির অভিযোগে এক ফার্মেসির মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় রোববার (২৮ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী, জরিমানার এই টাকার ২৫ শতাংশ পাবেন অভিযোগকারী।
আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর ওই টাকা অভিযোগকারীর হাতে তুলে দেবেন।
এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম।
অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মোক্তার আহমদ চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারের জেনেসা ফার্মেসিতে পপুলার ফার্মার তৈরি ২৫ টাকার ইপিডিন (৫ মিলি) ইনজেকশন তাঁর কাছে ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। ওই বাজারের অন্য কোনো ফার্মেসিতে ওই ইনজেকশন না পাওয়ার কারণে তিনি বাধ্য হয়ে বাড়তি দাম দিয়ে তা কেনেন। ইনজেকশন কেনার সময় পুরো ঘটনা নিজের মুঠোফোনে ভিডিও করেন তিনি। এরপর ওই ভিডিওসহ মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ করেন মোক্তার।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ফার্মেসির মালিক জামাল আহমদকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে ওষুধ, পণ্য ও সেবা বিক্রি জরিমানাযোগ্য অপরাধ। একই আইনের ৭৬(৪) ধারায় অভিযোগকারী মোক্তার আহমদ চৌধুরী ওই জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসাবে সাড়ে ১২ হাজার টাকা পাবেন।
জানা গেছে, একই দিন বিনা মূল্যের ওষুধ সংরক্ষণ করায় চৌদ্দগ্রাম বাজারের একতা ফার্মেসিকে দুই হাজার টাকা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় কেবি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মুদি দোকানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী ব্যক্তির হাতে সোমবার সাড়ে ১২ হাজার টাকা দেবেন জেলা প্রশাসক। এ ধরনের অভিযান পুরো জেলায় চলবে।