মামলাজট নিরসনে মেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব নিয়ে ‘এডিআর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশের বিচার ব্যবস্থায় ৩২ লাখের বেশি মামলা বিচারাধীন। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে উচ্চ আদালত পর্যন্ত অসংখ্য মামলা ঝুলছে। দেশে মামলাজট নিরসনে মেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগের বিকল্প নেই।
চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের কনফারেন্স হলে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমস) উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সংগঠনটির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিমসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী।
চট্টগ্রামের জেলা জজ মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণি, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এস এম বদরুল আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন। সেমিনারে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতের বিচারক ও আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
মূল প্রবন্ধে অ্যাডভোকেট সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী বলেন, ‘দেশের বিচার ব্যবস্থায় ৩২ লাখের বেশি মামলা বিচারাধীন। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে উচ্চ আদালত পর্যন্ত অসংখ্য মামলা ঝুলছে। এ দেশে মামলাজট নিরসনে মেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগের বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মামলা মেডিয়েশন, পারস্পরিক বোঝাপড়া বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। সেখানে বড়জোর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি হয় আদালতে। আর আমাদের দেশে চিত্র ঠিক এর বিপরীত। এদেশে কেবল ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়ে থাকে বোঝাপড়া বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে। আর ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয় আদালতে। এ কারণে মামলাজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় মামলাজট নিরসনে মেডিয়েশনের বিকল্প নেই।