পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে মজুত করে রাখা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় দুটি হিমাগারে অভিযান চালিয়ে ৪১০ টন মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করেছে র্যাব। এ ছাড়া ভেজাল খাদ্যদ্রব্য মজুত ও বাজারজাতকরণের চেষ্টার অপরাধে একটি কোল্ড স্টোরেজসহ দুই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা খেজুরের আনুমানিক মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা।
র্যাব জানিয়েছে, মজুত করা খেজুর আসন্ন রমজানে নতুন করে প্যাকিং করে একধরনের সিরাপ স্প্রে করে বাজারজাত করার কথা ছিল। সোমবার (২৯ এপ্রিল) র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব-১১–এর একটি দল উপজেলার ধর্মগঞ্জ এলাকার শাহীন অ্যান্ড ব্রাদার্স কোল্ড স্টোরেজ ও আদর্শ কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালায়।
সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, রমজান মাসে বাজারজাত করার জন্য এসব খেজুর মজুত করা হয়েছিল। যা কমপক্ষে তিন থেকে চার বছর আগের আমদানি করা। খেজুরগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হিমাগারে পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে। খাওয়ার অনুপযোগী এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নষ্ট খেজুরগুলোতে একধরনের কেমিক্যাল স্প্রের মাধ্যমে চকচকে করে নতুন বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল। রাজধানীর বাদামতলীর ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সারা দেশে এই খেজুরগুলো বাজারজাত করার প্রস্তুতি চলছিল।
র্যাব-১১–এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রমজান মাসে নষ্ট খেজুর যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য র্যাব আগে থেকেই হিমাগারগুলোর ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছিল। দুটি কোল্ড স্টোরেজে বিপুল পরিমাণ খেজুর, মাল্টা, আপেল আমরা পেয়েছি। অসাধু ব্যবসায়ী চক্র ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অপরাধ করতে না পারে, সে জন্য র্যাবের নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে শাহীন কোল্ড স্টোরেজ রি–প্যাকিং করার অপরাধে ওই কোল্ড স্টোরেজকে ৫০ লাখ টাকা, রামিছা এন্টারপ্রাইজের মালিক নজরুল ইসলামকে ৭৫ লাখ টাকা এবং আল্লার দান এন্টারপ্রাইজের মালিক আফসার উদ্দিনকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং আদর্শ কোল্ড স্টোরেজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।