দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সংবাদ প্রচারের সময় শিরোনাম পড়ার বিভিন্ন অংশে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক স্পন্সরের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাংক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আগামী ৩১ আগস্টের পর অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেলকে এ রায় মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। উদাহরণ হিসেবে ‘অমুক ব্যাংক বাণিজ্য সংবাদ’, ‘তমুক হাসপাতাল স্বাস্থ্য সংবাদ’- এ ধরনের কোনো টাইটেল স্পন্সর করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কোনো সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মাসুদ আহমেদ সাঈদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবুল কাশেম ও শেখ তাহসীন আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। চ্যানেল ২৪-এর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসাদুল ইসলাম।
ব্যারিস্টার মাসুদ আহমেদ সাঈদ বলেন, ‘দেশের বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে সংবাদ প্রচারের বিভিন্ন অংশে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক স্পন্সরের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।’
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন নিলে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করা সংবাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়- এমন অভিযোগে ২০১১ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। এম এ মতিন নামের এক স্কুলশিক্ষক ওই রিট করেছিলেন। তবে রিটকারীর মৃত্যুর পর ফারুক মো. হাসিব নামের এক ব্যবসায়ী রিটে পক্ষভুক্ত হয়ে মামলার কার্যক্রম চলমান রাখেন। পরে ওই রিটের ওপর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকসহ মোট ২৪ জনকে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের ওপর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ (সোমবার) রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।