দেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন সরকারের সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পাওনা রাজস্ব দিচ্ছে না। এছাড়াও পাওনা রয়েছে টেলিটক, রবি ও সিটেসেলের কাছেও। ওই তিন মোবাইল অপারেটরের কাছে সরকারের পাওনা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রোববার (৫ মে) এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা। তারা বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীকে অতি দ্রুত এসব বকেয়া আদায়ে পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন।
কমিটির সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রি জুনাইদ আহমেদ পলক, বেনজীর আহমদ, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, আহমেদ ফিরোজ কবির, মো. নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা, জাকিয়া পারভীন খানম এবং অপরাজিতা হক বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া বিশেষ আমন্ত্রণে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৈঠকে যোগদান করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডসহ বেসরকারি চারটি মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা এবং প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (সিটিসেল) কাছে ১৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়ার তালিকায় শীর্ষে গ্রামীণফোন। এই প্রতিষ্ঠানের অডিট আপত্তির পরিমাণ ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
এছাড়া সিটিসেলের কাছে ১২৮ কোটি টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে বকেয়া ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে থ্রিজি স্পেকট্রাম অ্যাসাইনমেন্ট ফি বাবদ ১ হাজার ৫৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিগত পাঁচ বছরের অর্জন ও আগামী পাঁচ বছরের কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ এবং মন্ত্রণালয়ের প্রধান ১০টি চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটি সারা দেশে নতুন প্রজন্মের সময়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে জ্ঞান ভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করে।
পাশাপাশি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রুগ্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উত্তরণের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি।