ব্রুনাই

ব্রুনাইয়ে সমকামীদের পাথর ছুড়ে হত্যার শাস্তি স্থগিত

ইসলামি শরিয়াহ আইন অনুসারে সমকামিতার জন্য পাথর ছুড়ে মৃত্যুর শাস্তির বিধান কার্যকর করা থেকে পিছু হটলো ব্রুনাই। রবিবার দেশটির সুলতান হাসানুল বলকিয়া নতুন আইনে থাকা সমকামিতার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধানের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এই বিধানটি চালু করার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ও বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের প্রতিবাদ ও দেশটিকে বয়কটের ঘোষণার পর এমন সিদ্ধান্ত এলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

কিছু অপরাধের জন্য আগে থেকেই বিধান থাকলেও ১৯৫৭ সালের পর থেকে ব্রুনাই কোনও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেনি। গত মাসে দেশটি ইসলামি আইন বা শরিয়ার কঠোর বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিল। আর দেশটিতে সমকামিতা আগে থেকেই নিষিদ্ধ থাকলেও শাস্তি ছিল ১০ বছর কারাদণ্ড।

এর আগে এক ভাষণে সুলতান বলেছিলেন, শরিয়াহ পেনাল কোড অর্ডার বা এসপিসিওর বিষয়ে ওঠা প্রশ্ন নিয়ে তিনি সচেতন আছেন। এখন এসপিসিওর ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময়েও তিনি নতুন আইনের পক্ষে কথা বলেছেন।

দেশটির প্রায় সাড়ে চার লাখ অধিবাসীর মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ। ব্রুনাইতে শরিয়াহ আইনের প্রথম বাস্তবায়ন হয় ২০১৪ সালে। যদিও তখন সাধারণ আইন ও শরিয়াহ আইন দুটোই চালু থাকার কথা বলা হয়েছে। প্রথম দফায় কিছু অপরাধের জন্য জেল জরিমানার বিধানের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর গতমাসে দ্বিতীয় ধাপে ঘোষণা করা হয়, সমকামিতার শাস্তি হবে পাথর ছুঁড়ে মৃত্যু।

জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছিল, এই বিধানটি মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র বিরোধী যা ২০০৬ সালে ব্রুনাই অনুস্বাক্ষর করেছে।