জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও তা দখলে রাখার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কোর্ট কিপার শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে ভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
আসামিরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গোলাম ফারুক ও তার স্ত্রী সৈয়দা মমতাজ।
গোলাম ফারুককে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ধারায় তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় আর তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই ধারায় ৯০ লাখ ৫১ হাজার ২৯৬ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
স্বামীর অর্জিত সম্পদ দখলে রেখে স্বামীকে অপরাধে সহযোগিতা করার অপরাধে স্ত্রী সৈয়দা মমতাজকে ২৬(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ সাজা প্রদান করেন।
রায় প্রদানের ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া গোলাম ফারুক কর্তৃক অবৈধভাবে দখলে রাখা সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, গোলাম ফারুককে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। গোলাম ফারুক তার নিজ নামসহ দুই স্ত্রীর নামে তিন কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ ও এক কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ রয়েছে মর্মে হিসাব বিবরণী দাখিল করেন।
গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ৭০ লাখ ৫১ হাজার ২৯৬ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তাকে সহায়তা করার অভিযোগে ২০১২ সালের ১৪ জুন সৈয়দা মমতাজের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার।
মামলার রায় প্রদানের আগে চার্জশিটভূক্ত নয়জন সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।