মুহঃ মাসুদুজজামান:
গণপ্রতারণার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এই যে এত এত নগদ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে, তাতে কী লাভ হচ্ছে! রাষ্ট্রের কিছু এক্সট্রা ইনকাম হচ্ছে। ভুয়া ডাক্তার ধরা পড়লে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা বা খাদ্যে ভেজাল ধরা পড়লে তা বাজেয়াপ্ত করে লাখ টাকা জরিমানা করা কী কোন সমাধান বা শাস্তি??! বদমাশ পশুগুলিকে সোজা নূন্যতম ২ বছরের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠান অথবা বিশেষ আইনে বা দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় নিয়মিত মামলা করুন। নিয়মিত আদালতের উচিৎ এইসব গণপ্রতারণা বিষয়ে কঠোরতম অবস্থান নেয়া। আইনের ফাঁকফোকর বিচারকদেরই বন্ধ করতে হবে। বিচারকদের রোবটিক বা নিষ্ক্রিয় আম্পায়ার না হয়ে জনস্বার্থে/দেশের শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে কখনো কখনো কিছুটা পক্ষপাততুষ্ট বা ক্রিয়াশীল হওয়া দোষের মনে করিনা। দেশটা অসভ্য ইতর অমানুষ দিয়ে ভরে যাচ্ছে, তাই বৃটিশদের তৈরী সভ্য আইনের সভ্য প্রয়োগ এদেশে বর্তমানে সম্ভব না। আইন এখন পুলিশ ও উকিল সাহেবদের উপর ছেড়ে দিয়ে বিচারক নীরব থাকলে, বদমাশগুলো আইনের কোন না কোন ফাঁক দিয়ে ঠিকই বের হয়ে যাবে। প্রয়োজনে বিচারকদের জুডিসিয়াল এক্টিভিজম প্রয়োগ করে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে হবে, যাতে ধর্ষক, ডাকাত, খুনী, লুটেরা, খাদ্যে ভেজাল দাতা, প্রশ্ন ফাঁসকারী, জনপ্রতারক কোন ভাবেই আইনের ফাঁকফোকরের সুবিধা নিয়ে পার না পায়। বৃটিশ আইনেরও ব্যাপক সংস্কার করতে হবে। উকিল সাহেবদের উচিৎ নৃশংস চিহ্নিত অপরাধীরা যাতে দ্রুততম সময়ে শাস্তি পায় – সেই ব্যপারে আদালতকে সহায়তা করা। পুলিশের তদন্ত বিষয়ে ব্যাপক নজরদারী দরকার। তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দেয়া ও সাক্ষী উপস্থাপনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রুত, ন্যায়বিচার ও দৃশ্যমান বিচার এখন সময়ের দাবী।
লেখক: সিনিয়র সহকারী জজ, পাবনা।